যে আমারে গড়েছে তিল তিল করে
ধারন করে জঠরে তাঁর জন্ম নাড়ির যোগে,
রক্ত মজ্জা দিয়ে তার শরীর পাত করে,
সস্নেহে জড়িয়ে বুকে -
যে আমারে দেখিয়েছে আলোর ভুবন এই সবুজ পৃথিবী,
পেয়েছি আলোর পরশ আমি দেখেছি চাঁদ তারা রবি,
বুক ভরে নিয়েছি বাতাস পেয়েছি যার স্নেহের জাহ্নবী ধারা
পায়ে পায়ে বাড়িয়ে পা একদিন খুঁজে পেয়েছি নিজেরে !


তারেই কিনা শতাব্দীকাল ধরে
নির্বিচারে করি শাসন শোষণ অপমান,  
করি বলাৎকার ?
করি তারে অবহেলা - তার নরম মাংস লুঠ ,
করি ব্যভিচার ?
সমাজ সংসার গড়ি পুরুষেরা করে যাই পেশির বড়াই,
কেড়ে নিয়ে তার যত ন্যায্য অধিকার করি ব্যভিচার
ধর্মের ধ্বজাধারী মুরুব্বী আর মতব্বরেরা যত
তাকে দেয় উপহার -
অবগুণ্ঠন ঘোমটা হিজাব আর ঐ অন্ধকার সুতিকাগার ?
উপরি পাওনা তারই সাথে -
যত লাঞ্ছনা অপমান আর অবিচার ।


জন্মদাত্রীকে তোমার আমার আর সবাকার
বলে কিনা সে অশুচি?
সে  নাকি অসূর্যমস্পর্শা ?


মানিনা এমন ধর্মের অর্বাচিনতা নিষ্ঠুর ফরমান ,
সাথে তার হাস্যকর আরোপিত কিছু সমাজের নীতি ।
মানিনা এমন ধর্মের যাজক ও সমাজ কর্তার নিম্নরুচির বিধান,
সোচ্চারে উহাদের জানাই ধিক্কার।
____________________
অমিতাভ (২.০২.২০২০)


** যে বা যারাই এমন ধারনা পোষণ ও প্রচার করে , আমার এই লেখা তাদের বিরুদ্ধে ।। জানি অনেকেই আছেন সহানুভুতিশিল , তাদের জানাই একত্রিত হওয়ার আহ্বান।