কবে যেন কোথা দিয়ে কোনও এক ছিদ্রপথে
উত্তুরে হাওয়া এসে বাজায় তাঁর আগমনি গান,
খড়ি তুলে গায় কুঞ্চিত চামড়ায় টান দিয়ে বলে
দেখ আমি এসে গেছি শীত,
আর তো নয় হিসেবের জাবদায় কষা তোমার হারজিত
এইবার তোমার পালা বদলের পালা সুনিশ্চিত ।


আচমকাই চেয়ে দেখি -
উদর পূরণের তন্ডুল আহরণে দৌড়ে চলা এই আমি
কখন যেন ফেলে এসেছি অলক্ষে আমার ,
লাগাম টেনে সবেগে চলা জীবনের মধ্যাহ্ন ও দ্বিপ্রহর !
সম্বিৎ ফিরে পেতেই দেখি পাতাঝরা হেমন্তের আহ্বান !
হারিয়ে গিয়েছে অলক্ষে, অবহেলে বড়ই কাঙ্খিত ওই শানিত যৌবন ।
চৌকাঠের ওপারে বানপ্রস্তকে দেখি সহাস্যে দাঁড়িয়ে  
বাড়িয়ে তাঁর প্রসারিত দুই বাহু ডাকে যে আমাকে।


সকালটা এসেছিল আলো আর সম্ভাবনার নৈবিদ্য সাজিয়ে
মধ্যাহ্ন্যের ধূলিঝড় কেড়ে নেয় অবসর, সম্ভাবনা লুটায় ধুলায়।
আলোরা আলেয়ার মত হারায় আঁধারে ,
ফুলের সুগন্ধ নেয় শকুনে শৃগালে ।


স্বপ্নময় জীবনের গায়
ছড়িয়ে দিয়েছ যত বিষ পিঁপড়েদের,
জ্বালিয়ে দিয়েছ আগ্রাসি ক্ষুধার অনল ।
এ'কেমন রঙ্গ তুমি খেলিছ জীবন
প্রবাহিত সময়ের চলমান এক চক্রব্যূহ কারাগারে ,
বাঁচার তাগিদে ছলনায় ছিনিয়ে যৌবন ?
__________________________
অমিতাভ (২.১১.১৯) বাড়ি, সন্ধ্যা ৬-৪০