দুঃখ দুঃখ আর দুঃখগুলো যত
ঘেরাবন্দী করে আছে জীবনকে সতত ।
ঘর ভাঙ্গে, ভাঙ্গে হৃদয়, ভাঙ্গে নদীর পাড়,
সুখের ঘরেই জন্ম দুখের, আলোর নিচেই অন্ধকার ।


দুঃখগুলো কখন যেন -
দেখি রুমালে ভিজে চালান ওরা দিব্বি  আমার পকেটে ,
দুঃখ দেখি আশেপাশে, ডাইনে বাঁয়ে পিঠপিছে ,
অন্তরে বাহিরে দুঃখ, আছে ঊর্ধ্বে নাহয় পদতলে ।


দুঃখ আছে বৈভবে জন্ম নিয়ে
সুখ যে কি তা না বোঝায়,
দুঃখ আছে জঠর জ্বালায়
সে আছে নিপীড়নে, স্বাধীনতাহীনতায় ।


সে আছে ঐ দুকূল ভাসা বানের জলে,
বজ্রপাতে ঝড় জলে,
আাছে ভুমিকম্পে আগ্নোৎপাতে,
জলোচ্ছ্বাস দাবানলে ।


ছায়াসঙ্গি হয়ে সে তো
সুখেরই পিঠ পিছে পিছে ।
চাইলেও তারে যায়না ভোলা
সে যে যতিচিহ্ন সুখ শেষে ।


দিব্বি তো কাটছে জীবন
জড়িয়ে দুঃখ বুকেপিঠে ,
যেমন মারের শেষেও চলি হেঁটে
পিঠে নিয়ে কালশিরে !


দুঃখ যেন অশ্রু হয়ে বওয়ার শেষে
মরা নদীর শুকনো চর,
অগোচরে চোখের কোনে
জমে থাকা দুঃখ যে ঐ নোনা জলের শুকনো দাগ !  
_______________________________
অমিতাভ (২৮.১০.২০২১) গৃহকোণ, রাত ১১-২০