আজ আমি এক দলের পেটোয়া কর্মী মাত্র,
চলেছি পতাকা নিয়ে হাতে
ইনকিলাব বলে চলি মুষ্টিবদ্ধ হাতে শূন্যে তাকিয়ে,
কোরাসে স্লোগান দেই সাথে।
জানিনা কী হবে আদৌ ওই চিৎকারে।


অনেকটা হাঁটার পর চারটি খেতে দিয়েছিল ওরা,
এখন আবার পতাকা নিয়ে হাতে,
পায়ে পায়ে বাড়িয়ে পা হেঁটেই চলেছি ভিড়ে
জিন্দাবাদ আর ইনকিলাব ধ্বনি তুলে,
যদিও জানিনা ওই জিন্দাবাদ কার
আর কিসেরই বা হবে ইনকিলাব ?


হাঁটতে হাঁটতে সেদিনের ঘটনাটা ভেসে ওঠে চোখে
গ্রামের তেমাথার মোড়ে দুই বেওয়ারিস লাশ ছিল পড়ে,
মানুষকে মরতে দেখি মানুষেরই উন্মত্ত নির্দয় ক্রোধে –
বলি হয়ে মুন্ডহীন কিংবা বুলেটের চুম্বনে ।


হারিয়ে গিয়েছে বোধবুদ্ধিগুলো যত পেটের টানে আর উলঙ্গ অভাবে
ভোর হলেই শুধু ‘নাই নাই' , কানে বিরামহীন বাজে।
তাই হাঁটছি অজানা পথে, ঝাণ্ডা নিয়ে হাতে,
একটু আলোর সন্ধানে ...


ধুসর মনের পর্দাটায় ভেসে ওঠে দৃশ্যপট –
কুলুঙ্গিতে টিমটিম বাতি,
দুটো গরম ডাল ভাত হাঁড়ি আর ওই মালশাতে,
বাচ্চাটা হাসিমুখে ইস্কুলের পথে –
স্বপ্ন এগিয়ে চলে মনে।
ওর মাকে বলতে শুনি  
“ বাছা তুই শিখে নেরে তাড়াতাড়ি করে -
দু'পায়ে শক্ত করে দাঁড়াবি কি করে”।


মুহুর্তে হারায় সব মা ও মেয়ের হাসিমুখ
ভেসে ওঠে দুটো বেওয়ারিস লাশ পড়ে আছে তেমাথার মোড়ে
“ চলবেনা চলবেনা “ বলে এগোই স্লোগানের সাথে
জানিনা কোন সে আলোর সন্ধানে ...
=======================
অমিতাভ (১৮.৭.২০১৫) বাড়ি, বিকেল ৪-৩০