বিলক্ষন জানি  তুমি কতখানি ভালবাস  
সবটুকু অকপটে উজাড় করে ঢেলে,
মন প্রাণ সঁপে দিয়ে বৃষ্টিভেজা ভরাতনু আতরে সাজিয়ে।
এও জানি বিলক্ষন তোমার ওই দুচোখের নীরব উক্তি -
অন্তর হতে যত না বলা কথা,
তুমি চাও বিনিময়ে সম্পুর্ণ নিয়ন্ত্রণ আমার উপর।
আমিও যে তাই চাই মনপ্রাণ দিয়ে -
সর্বার্থে ভালবাসতে - শুধুই তোমাকে।


কিন্তু এই দেহ? সে কেন বার বার আকৃষ্ট হয়
পরনারী অন্য দেহে মনকে না মেনে?
কেন কলুষিত করে তোমার আমার
ভালবাসা আর এই অসহায় মন?
কেন সব পেয়েও এই দেহ এত বেসামাল?
অন্য নারীদেহের প্র্রতি তার প্রলোভন,
নিশি পাওয়া অজ্ঞান মাতাল যেমন।
মনকে অবশ করে তাড়িয়ে নিয়ে চলে -
ছাড়ে বিষবাস্প লালসার উত্তপ্ত নিশ্বাস,
এই দেহকে বার বার করে তোলে অনিয়ন্ত্রিত !!


এই মন তো ভালবাসে, পেতে চায় শুধুই তোমাকে
একান্তে নিভৃতে ওই মনের মন্দিরে ...
ওঃ -এ কী দুর্বিসহ আগ্রাসন এই অস্থির দেহের - পরনারীদেহে
মনকে না বুঝে, অন্তরের ভালবাসাকে অগ্রাহ্য করে
ছুটিয়ে নিয়ে চলে দাবানলের মত ...


এই মন এই প্রাণ জানি নিবেদিত হয়ে আছে
সম্পুর্ণরূপে তোমার সমীপে সানন্দে সাগ্রহে।
কিন্তু অবুঝ বেপরোয়া ক্ষুধার্থ এই দেহ?


কেন, কেন এই নাভীশ্বাস বার বার দেহ হতে ওঠে ?
কোথা হতে আসে এই দূরন্ত ঘোড়ার রাশ হাতে?
উড়িয়ে নিয়ে যায় বেসামাল করে –মনকে না বুঝে,
মূল্য দেয়না দেহ অন্তরের সুকোমল  ভালবাসাকে !!
=========================
অমিতাভ (৮.১২.২০১৫)