বড় কুয়াশায় ঢেকে গেছে ঘর বার চারিদিক
ছেয়ে গেছে জনপথ লোকালয় আর চরাচর।
ফুসফুসের ঝিল্লিতেও কেমন স্লেষ্মার স্তর
বুক ভরে হাওয়া যে আর নেওয়া যায়না এখন।


অশান্ত ঘুর্ণির মত বিক্ষিপ্ত এ'জীবন
বইতে পারেনা আর নির্দিষ্ট ধারায় কুল কুল করে,
গুমরে গুমরে মরে অপুর্ণতার ঘুর্ণি বলয়ে,
একটু একটু করে ডুবেই চলেছে সে
সামনে বিছানো ওই আসু জীবনের চোরাবালি পথে।


যদিও কখনও কোথাও একটুকু আলো - বিদ্যুৎ চমকের মত
কিংবা সবুজ – দূর্লভ মরুদ্যানের মত
তারই পরে অচিরেই গুরু গুরু মেঘগর্জন, ঝড় আর জলোচ্ছাস।


সীমাহীন নীল আকাশ –
আর যায়না দেখা মনের আকাশ ঘিরে
ক্লান্ত এ’মন ওড়েনা আর উন্মুক্ত আকাশে
সারল্য নিয়ে দুই সাদা ডানা মেলে,
ইট কাঠ পাথর আর যত তারের জঞ্জাল -
ভরে আছে মনের কোনে কোনে
মাকড়শারা ঘোরে শুধু মুখে লালা নিয়ে
মনের জানালায় ওরা বুনেই চলেছে যত জাল।
ক্রমশ দৃষ্টি ঝাপসা হয় মনের ব্যপ্তি যায় কমে।


ধিরে ধিরে ঈশান কোনে জমে কালো মেঘ
এগিয়ে চলেছে এ’জীবন মোহনার দিকে - সময়ের টানে,
গোধুলী বেলায় দেখি জীবনতরীখানি -
জলপ্রপাতের শেষ প্রান্ত সীমায় !
সামনেই অজানা এক  অতল গভীর - শুধু অন্ধকার !!


বড় কুয়াশায় ঢেকে গেছে ঘর বার চারিদিক
ছেয়ে গেছে জনপথ লোকালয় আর চরাচর।
ফুসফুসের ঝিল্লিতেও কেমন স্লেষ্মার স্তর
বুক ভরে হাওয়া যে আর নেওয়া যায়না এখন।