তোমার গন্ধ দেহের, পায়েল চুড়ির খনক ঝঙ্কার  
পাওয়া যায়না তো  আর ...
তোমাকে তো যায়না দেখা কোথাও আবার,
ভালবাসা, প্রেম, বিনোদন যত - ওরাও তো নেই আর
ব্রাত্য শব্দ হয়ে  বুঝি রয় - অভিধানে আমার।


স্নান ঘরে ঝিরঝির ‘সাওয়ারের’ জল,
সাথে সুরেলা মিষ্টি গলার গুনগুন তোমার
একটু পরেই - সাদা টাওয়ালে মোড়া
পবিত্র একখানি মুখ!
অবাক বিষ্ময়ে রই ভরাট মুখপাণে চেয়ে,
বাজুবন্ধ - নূপুরের নিক্কন শুনি।
মিষ্টি হাসির ছোঁয়া, চোখে চোখে কথা বলা
তোমার শরীরের সেই সুগন্ধী ঘ্রাণ ...


শিশুর উচ্ছল হাসি রক্তাভ অভিমানি ফোলা লাল মুখ
কতদিন হয়ে গেল দেখিনা ওদের,
অশ্রুসজল আঁখী  নালিশ আবদার কত খুশি ছিল সাথে,
ওরাও হারিয়ে গেছে দেখি সবাই একসাথে ।


সবই যেন আজ এক ধু ধু মরীচিকা,
কিংবা সাজানো ফ্রেমের ভিতর ছবি হয়ে ওরা।
কত যে রঙ্গের খেলা –
পরতে পরতে ওই ছবির ভেতর !
তবে ওরা আজ নিশ্চল নির্বাক বাকি ইতিহাস
পটে আঁকা ছবির মত – তুলি ও কলমে।


শুনশান সাগর তীরে সন্ধ্যা নামে ধিরে
পায়ের চিহ্নরা যায় মুছে সাগর বেলায়।
তোমাকে তো যায়না দেখা কোথাও আবার
তোমার গন্ধ দেহের, পায়েল চুড়ির খনক ঝঙ্কার  
পাওয়া যায়না তো আর ...
---------------------------------------
অমিতাভ (১.০৬.২০১৬) বাড়ি, রাত ১১-৪৫