কেন এত কৃচ্ছসাধন, অনুশাসন আর কোরোনার বেড়া?
কেনই বা শোনাও এত ভগবান টগবান
যতসব  ঐশ্বরিক বেহেস্তের লম্বা চওড়া কথা?
দিয়েছ তো ছোট্ট এক অনিশ্চিত মানব জীবন,
তাও আবার যন্ত্রনা বিয়োগ আর রোগের বোচকা ভরে পিঠে!
মারছ কত নিরীহরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে নাহয় কুলাঙ্গারের হাতে।


কিসের এসব ভগবান টগবান জন্নত বেহেস্ত দেখাও?
রেখেছ তো জাহান্নুমের ফুটন্ত কড়াতে!
চারিদিকে অসুরেরা করে কোলাহল উন্মত্ত উল্লাসে,
ওরা অত্যাচারীর খড়গ  হাতে মেতেছে ধর্ষণে কর্তনে।
আর তুমি নাকি ভগবান?
কেমন মূক ও বধির হয়ে বসে - ঠুঁটো জগন্নাথ।
ওদিকে নিরীহের ক্রন্দনে আকাশ বাতাস যায় কেঁপে।


কোথাও আবার শুনি -
তোমাকে নাকি কোনও প্রশ্ন নয় তুমি সর্বময়!
এ কেমন একনায়কতন্ত্রের স্বৈরাচারী আঁচ?


হে প্রভু - স্নেহই যদি দিলেনা তুমি,
দিলেনা করুনা, সুবুদ্ধি তোমারই সন্তানেরে
কেন জন্ম দিলে তারে?
কেন করব পূজা, কেনই বা মানবো বল
কেন সাজাবো চন্দন ফুল দিয়ে সুগন্ধী ছড়িয়ে ?
পার কি বলতে তুমি বুকে হাত রেখে?
____________________
অমিতাভ (২৩.৪.১৮)