ভাঙা নীড়ে বসে পাখি - নিচে ভাঙা ডিম,
ভাঙে দরজা কপাট খাট, কড়ি বর্গা বিম ।
ঘুনপোকারা যত মেতেছে অকাল বসন্ত উৎসবে
কুরে খেয়ে হাড় মাস, অবয়ব অবিকৃত রেখে ।
দিন দিন আয়ুহীন হীনবল দিন দিন,
স্বপ্নরা অন্তঃসলিলা হয়ে ফল্গুধারায় ওরা হয় অধোলীন।


প্রচ্ছন্ন হতাশায় চলেছি ক্রমান্বয়ে ভুগে
মেকি হাসি অভিনয় মেখে মুখে ,
সামাজিক পানপেয়ালার রঙিন পানিয়ের বৈভবে
প্রতিনিয়ত রক্তঝরা বিষন্নতার আর্তনাদ ভুলে -
উচ্ছন্নে যাওয়া মানবিকতাকে দেখি
বিসর্জনের নাচের তালে হতে উচ্ছ্বল ।


আপাত শান্ত ঝিলের জলে ফোটেনা পদ্ম আর নেই পানকৌড়ি ডুব,
দীঘিভরা জল ছেয়ে আছে জলঝাঁঝরিতে।
বিপণনের দুন্দুভী বাজে চারিদিকে,
মিথ্যার আস্ফালনে আলোর নিচেই অন্ধকারের বেসাতি।
ভালোবাসা বিক্রি হয়, নির্দ্বিধায় বদলায় হাত
নীল আলোর নিচে রেস্তোরাঁর টেবিলে টেবিলে।


কেন যে জাগতে হয় বার বার অচৈতন্য ঘুমের অব্যহতি পরে,
আবার একটা নতুনতর ভয়াবহ অন্ধকার দেখার অপেক্ষায় !
কেন যে উচাটন হয়ে ওরা ভালবাসে,
তারপরই তো হাঁটু মুড়ে বসে করে শূন্যে আস্ফালন!
উচ্ছন্নে যাওয়া মানবিকতাকে দেখি
বিসর্জনের নাচের তালে হতে উচ্ছ্বল ...
_________________________
অমিতাভ (১৬.১.২০২৩) গৃহকোণ, সন্ধ্যা ৬-২৫