ঝাঁ ঝাঁ দুপুর।
আমার শ্যামবাজারগামী গাড়ির চাকায়
তখন থাবা বসিয়েছে
চিড়িয়ামোড় ট্র্যাফিক।
আড়মোড়া ভেঙে
যেই না ডাঁ-দিক তাকিয়েছি
অমনি তোমার চোখে আমার চোখ।


আর--
তোমার আলতো-নোয়ানো
সলজ্জ রক্তিম হাসির ধারা
তখন ভিজিয়ে দিল
চুল থেকে নখ
বুক থেকে মুখ
চোখ থেকে মন।


দেখলাম তোমায়; --
আজো।


যদিও আমার আসা-যাওয়ার পথে
ইদানীং তুমি রোজই প্রতীক্ষায় থাকো,
আমিও প্রতীক্ষার প্রহর গুণি
তোমার চোখ ছুঁয়ে যাবার।


তবু
এই ভরা বসন্তে
তোমার সমস্ত শরীর জুড়ে
থরে-বিথরে সাজানো
রক্তিম পলাশের আভরণ
আলো হয়ে ওঠে আমার চোখে।


স্কুলে যাই
বই-এর ঘোলাটে আঁধারে কত হোঁচট খাই।
ঠিক তখন
আনমনা চোখে কাছে দূরে উপরে তাকাই
অমলিন সেই আলো যদি খুঁজে পাই।


শুধু এই ছুঁয়ে যাওয়া
শুধু এই বুঝে পাওয়া
সবকিছু ছেড়ে রেখেও
সব কিছু ঘিরে থাকা
বসন্ত-সখার নামে বসন্তবিলাস--
আমার পথপ্রিয়া রক্তপলাশ।