হে বিদায়ী অভিশপ্ত বর্ষ!


তুমি ভেঙেছো মোদের দু'চোখে দেখা আগামীর স্বপ্ন!
নিয়েছো কেড়ে কারোর আপনজন।
তুমি উপহার দিয়েছো মোদের কঠিন সময়।
বুঝিয়েছো বেঁচে থাকার মর্ম!


তুমি ছড়িয়েছিলে বাতাসে ভাইরাস বিষাক্ত।
অজানা আতঙ্কে করেছিলে কণ্ঠরোধ।
তুমি দেখিয়েছো স্বজন হারানো মানুষের আর্তনাদ।
তুমি সারা পৃথিবীকে করেছিলে দিকভ্রান্ত।


যে ফুল ফুটতে চেয়েছিলো পাপড়ি  মেলে,
তারে তুমি করেছিলে গ্রাস!
তুমি কখনো কেড়েছো নববধুর সিঁথির সিঁদুর!
শূন্যতা বিরাজ করেছে অভাগিনী মায়ের কোলে।


তুমি নিয়েছিলে শ্রমজীবী মানুষের রুটিরুজি কেড়ে।
করেছিলে অনাহারে গৃহবন্দী।
তুমি কেড়ে নিয়েছো সবকিছু, দাওনি তো কিছু ফিরিয়ে!
শুধু দিয়েছিলে ঠেলে হতাশা আর অন্ধকারে।


তুমি শতাব্দীর সর্বগ্রাসী!
রচিয়াছো এক অভিশপ্ত ইতিহাস।
কালের শ্রেষ্ঠ গৌরবকে তুমি পুড়িয়ে করেছো ছাই!
তোমার বিষে সভ্যতা হয়েছে বিশে বিষময়ী।


একুশের শুভ সন্ধিক্ষণে মানুষ আশায় বাঁধছে বুক!
তোমার সব বেদনাময় স্মতি ভুলে।
কালের দোহায়, তুমি আর এসো না ফিরে।
আজ নতুন ভোরে মানুষ দু'চোখে আগামীর স্বপ্ন দেখুক!