আমার চোখের এক ফোঁটা জল
শুকিয়ে- আজ ধূসর প্রান্তর;
ছেঁড়া পাণ্ডুলিপির মলিন পাতায়
হাতের রেখার শাপমোচন।
অজস্র ভুলে ভরা চিঠি,
থার্মোমিটারের দীর্ঘশ্বাস-
ঘাসফড়িঙের আনাগোনার মাঝে
কৃষ্ণচূড়ার হাহাকার।
সদ্য ভালবাসতে শেখা মন
মরুঝড়ের কাব্যে মৃতপ্রায়।
ভাতঘুমের অলসতা মিশে
সেলুলয়েডের নোংরা ফ্রেমে বন্দী;
ইয়ারফোনের চিৎকার কেউ শোনে না।
নীলিমারা নীল শাড়িতে
অন্য কারো স্বপ্নে ঘুম থেকে ওঠে।
ক্যালকুলাসের সন্ধ্যা নামে,
আর্টসেলের গানে
জারজ বাঙালিদের রক্তে
বিশ্বাসঘাতকতার সুগন্ধ!
রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরি
কিংবা ইথানল তৈরি
এসবে আমার কিছু এসে যায় না।
নিদারুণ ব্যস্ততা আমার
সময় কোথায় তোমার কথা ভাববার?
লাল জল আর কালশিটের গল্প এটা,
গণিকাদের নিশিযাপনের গল্পও এটা।
তাতে আমার কী এসে যায়?
যন্ত্রণাবোধ ভাসিয়ে দিয়ে বেঁচে থাকা-
চওড়া হাসিটা আজ তোলা থাক।
হোক না পালাবদলের গান রচনা,
অভিযোগ পেছনে ফেলে রাখার ইচ্ছেগুলো
যাক না ঝাপসা হয়ে, ম্রিয়মাণ হয়ে যাক।