লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি
       বছর বছর ধরে ,
গড়ে উঠেছিল ধীরে ধীরে -
     এমন সুন্দর করে
সকলের সুলভ আশ্রয় ,
                 সুখ বিলাসের ধরণী ;
ধীরে ধীরে হয়েছিল শীতল
     অগ্নি গোলক হতে,
আকাশ বাতাসের আনুকূল্য
        স্বতই সৃষ্টির স্রোতে,
সবুজের সমারোহ হয়েছিলে
                  বিচিত্র বৈচিত্র বরণী ,    
সব প্রাণের অনুকূল আশ্রয়        
    সৃষ্টির আনন্দে মেতে,
কত জীব উদ্ভিদ জন্মেছিলো
     এই সসাগরা ধরণীতে ,
আর তারই মাঝে শ্রেষ্ঠ জীব
         আশ্চর্য জ্ঞানের অধিপ মানব ;
সুখে ছিল তারা, সুখে আছে
      নেই কোনো অপ্রাচুর্য,
কিন্তু লোভ হিংসা  মাৎসর্য
     বেজে ওঠে মনে রণতুর্য  
       বুদ্ধিকে করে দিয়ে অন্ধ,
             জেগে ওঠে হিংসার দানব ।
শুধু একার ভোগলিপ্সায়  
  সকল সম্পদ আহরিতে    
  কত মরনাস্ত্র জমদগ্নি
  রচিয়াছে অন্যরে বঞ্চিতে
   আত্মসুখে  মগ্ন মানুষ
                  বুদ্ধি হারিয়ে হয়ে কবন্ধ ;
পরের ঘরে আগুন দিয়ে  
       যদি যাও সুখিনিদ্রা নীড়ে    
সে আগুন কি রইবে থেমে  
      শত্রুর ক্ষূদ্র জতু ঘরে ,  
  শ্রেষ্ঠ জীব নিভিয়ে বুদ্ধির দীপ
           জ্ঞান চক্ষুরে  করেছ  অন্ধ ?
তাইতো মনে মনে শংকিত
    শক্তিহীন বুদ্ধিহীন আমি
তিলে তিলে সাযুজ্যে গড়ে ওঠা
    অসংখ্য জীবন সংগ্রামী
সুখে বেঁচে থাকার স্বপ্ন নিয়ে  
            এই স্নেহময়ী ধরণীর বুকে ;
কে পারবে বাঁচাতে , কে পারবে ,
     সর্বগ্রাসী  আগুন নেভাতে,
মনে আর বনে জ্বলছে সদা
     কে আছে এমন এ জগতে
          বাহিরে এসে কে দাঁড়াবে রুখে ?