এই বরষা সিক্ত সকালে মুষলধারে বৃষ্টির শব্দ যেনো আমার অন্তরে বদ্ধমূল হয়ে।তোমাকে পাবার এক অনির্বনীয় আকাঙখা জাগিয়েছে।
অঙ্কুরীয় বৃক্ষ যেমন মাথা তোলে দারায়
সেও তেমন আকাশ ছোয়ার অভিপ্রায়ে
জাগিয়া উঠে আমাকে অশান্ত করে তুললো।
গহীন জঙ্গলের আধার নিভৃত তরুছায়া তলে কিঞ্চিত পরিমান অবকাশে যেমন করে সে উর্ধ্বগগণ প্রাণে সঞ্চারিত হতে থাকে,তেমনি সে তোমায় পেলে সকল বাধা পেরিয়ে সিঁথিতে সিদুর সদৃশ পথে গমন করিয়া তোমার সুখাচ্ছাদিত কোমলায়িত স্পর্শের তরে শায়িত হত।
কেমন করিয়া যে তাহার এত যৌবনাসুখারোহন এর প্রবল তৃষ্ণা জাগে আমি জানি নে জানি নে।এই ক্ষণকালের বৃষ্টিস্নাত ভোরে তোমার কুলে মাথা রেখে
কদাচিৎ শব্দদৃষনে আমার কর্ণসমেত সর্বাঙ্গ শিহরিত হইবার জোর। তুমি বিনে,
কি ই বা করিবো আমি? আমার যেন তোমাতেই কেবল তোমাতেই মিশিয়া
মহাকাল পার হইয়া যাইবার অভিপ্রায় হয়। সুখ সকল বোধহয় তোমারি কাছে রহিয়া গিয়াছে।তোমার কৃষ্ণচূড়া সদৃশ ঠোটে,সেই স্বাদ কি তোমার ওষ্ঠাধর ব্যাতিত মিটে?