ঘুমন্ত শরীরগুলো মানুষের
দুএকটা কুকুর বিড়াল ও রয়েছে,
নয় নিচে খোলা আকাশের
প্ল্যাটফর্মের ছাউনি ছাদ হয়েছে।
শীত বা গরমে এ শান্তি নিদ্রা
পার্থক্য ছেঁড়া কাঁথা আছে বা নাই,
জনতার সরকার হয়নি বিনিদ্রা
সরকারি বিশ্রামাগারে এরা ঘুমন্ত তাই।
চারদিক খোলা বায়ু বহে নিরন্তর,
শিশুর শরীরগুলো নির্ভাবনার ঘূমে
এ বিশাল মহলখানি রেলবন্দর
ভাবনা তার যিনি জন্ম দিলেন ভূমে।
লোহার গাড়ি গুলো মানুষ উঠায় নামায়
তবুও ওদের ঘুম না ভাঙ্গে
ওদের জীবন এক ই রকম চিন্তাহীনতায়
কিসের স্বপ্নে সাঁতরায় কোন গাঙে।
শরীরগুলো পথের উপর, বসার কংকৃট জুড়ে,
পথিকের নানান ব্যবহারে
কাতরায় আধো ঘূমে,  হুইসেলের তীক্ষ্ণ সুরে
এপাশ হতে ওপাশ ফিরে।
শৃংখলা বাহিনীর লাঠী বা লাথী চালনায়
যখন সূর্য মাঝ দীগন্তে প্রায়,
অবশেষে ঘুমন্ত শরীরগুলো নানান তাড়নায়
চোখ খুলে খাবারের খোঁজে যায়।