দুর্দিনে ছেড়ে গেছে কতো কেউ—
খুব কাছের চেনা মুখ, কাঁচের সোনালি ঘড়ি।
খোয়াব দেখার মতো ঘুম জড়ানো রাত!
চোরের হাত ধরে দীর্ঘ সময় বাঁচানো নীলরঙা সাইকেল!


দুর্দিনে ছিঁড়ে গেছে একবারও না ভেজানো চকচকে জুতো! ধুয়ে দেওয়া জামার পকেটে থাকা সর্বশেষ একশো টাকার নোট! আয়রন করিয়ে আনা পাঞ্জাবির সেলানো মজবুত বোতাম। ছিঁড়ে গেছে এই শহরের রাতের মাস্তান মশাদের তীব্র যন্ত্রণা থেকে মুক্তির অবলম্বন মশারির একপাশও!


দুর্দিনে ছেড়ে গেছে কতো কেউ—
আত্মীয়দের ফোন থেকে আমার ব্যবহৃত একমাত্র নাম্বার, মায়ায় জড়ানো পোষা বিড়াল, ভাড়া দিতে না পারায় নিজের মতো করে গোছানো স্বস্তির শহুরে বাসা, ছেড়ে গেছে একবালতি কাপড় ধুবার পর ভোর থেকে ঝলমল করতে থাকা আকাশের তীব্র রোদও!


দুর্দিনে ছেড়ে গেছে কতো কেউ—
টিউশনের টাকা বাঁচিয়ে কেনা রোদ বৃষ্টিতে আগলে রাখা ছাতা প্রিয়তমার ছবি লুকিয়ে রাখা ছেঁড়া মানিব্যাগ,
শূন্য পকেটে ঘন্টার পর ঘন্টা জমে থাকা
বন্ধুদের আড্ডার ফেলে আসা সময়।
ছেড়ে গেছে এভাবেই কতো কেউ মাসের পর মাস—
ছেড়ে গেছে হাত উঁচিয়ে দাঁড়াতে বলা
কাঠগড় মোড়ের দশ নাম্বার বাস...