বান্ধবী-তোমার রুপ দেখে আমি অনেক গহীন প্রেমে পড়েছি
জানি না তোমার মাঝে কি আছে! শুধু এ মন যে করে পাগলামী।
রাত জেগে জেগে তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে ভাল লাগে আমার
দুই নেত্রের পলকে পলকে ভাসে কল্পনায় রুপ দর্পন শুধু তোমার।


বান্ধবী-এই চিঠি তোমার জন্য-চিঠি পড়ে তুমি বিবেচনা করো
হয়তো ঘৃনা করে দূরে ফেলে দিবে-না হয় ভালবেসে বুকে ধরো।
সূর্য্য যেমন ধরে রাখে তার আলো-সন্ধ্যা ধরে রাখে তার তারা
তেমন করেই ধরে রেখো আমায় তোমার বুকে-না হই যেন বাঁধন ছাড়া।


বান্ধবী-দেখেছিলাম তোমার হাসি-শুনেছিলাম তোমার কণ্ঠ-মধুর
ঝর্ণা যেমন গান করে-কোকিল যেমন বসন্তের সুরে বাহাদুর।
পাগল করেছো তোমার মিষ্টি কণ্ঠের কথায়-প্রেমর তীর ছুড়েছো বুকে
কালো মুখ আলোয় ভরে দিয়েছো-ধৈন্য ধৈন্য তাই শুধু তোমাকে।


বান্ধবী-বলো তো রাত কেন এত ছোট? নাকি ভেসে যায় বলে স্বপনে
কাঁদে মন কাঁদে হৃদয় ভালবাসার জীবন কেন ছোট হয় ভুবনে।
চাঁদের পাশে যেমন রহেছে বসে হাজার বছর ধরে সন্ধ্যা শোক তারা
আমায় তুমি ভালবাসলে রহিব তোমার পাশে যাবোনা হয়ে বাঁধন ছাড়া।


বান্ধবী-আমার কবিতা তুমি গল্প তুমি এবং উপন্যাসের শেষ পাতা
তুমি-হীনা সব আঁধার সবেই মাটি-নিবু নিবু করে চোখ পাতা।
প্রতি শব্দের শব্দ বিলাসিতা তুমি-তুমি-হীন আমি ছন্দহীন কবি
তাই চোখের ভিতর রাখলাম এঁকে শুধু বান্ধবী তোমার রুপ-ছবি।


বান্ধবী-হাজার-লক্ষ বছর কেটে যাবে-চলে যাবে যুগ-যুগান্তর
তোমার আমার প্রেম হবে না নিমেষ অমর থাকবে ধরার অন্তর।
শত প্রেমের মাঝে অনুরোধ করি তোমায়-ভালবাসার স্পর্শ চাই মাধবী  
মনের তৃষ্ণা মিঠতো তবে-সোনা না! তুমি না আমার প্রাণের বান্ধবী।


রচনাকালঃ ০৫/১২/২০১৮ইং
ময়মনসিংহ-বাটিকাশর বড়বাড়ি


.....................( যে কষ্টে-বুক ফাটে কাব্যগ্রন্থ থেকে ).....................