নির্জন হাত নিষিদ্ধ আঁধারের বিচূর্ণিত রাত্রির ধূলিঝড়ে
মৃত্যুর শিঙায় প্রখর জ্যোৎস্নার ছায়া
নরকের দরজায় বাজেয়াপ্ত দিনের কৈফিয়ত
পুড়ে যাওয়া নিঃসঙ্গ ঘরের পাণ্ডুলিপি
মলিন ঠোঁটে বেরিয়ে দ্যায় "বিক্ষোভে কেঁপে ওঠা দিন
স্বীকৃতি দে গগণবিহারী তারুণ্যের নির্লজ্জ পাহাড়" ।
মিছিল মিছিল শব্দের স্লোগান শতাব্দীর গোধূলিতে
আয়ুরেখায় জমে ওঠে মহুয়া-রক্তের বহুরূপী শিশির ।
বুকের পাঁজর ছিঁড়ে যায় রক্ত চুইয়ে হয় জ্বলন্ত সমুদ্র
তন্ময় ঝিঁঝিঁ অমাবস্যার অদ্ভুত প্লাবনে
নিজমুখ দীর্ঘ জলতরঙ্গের শব্দহীন রূপোলী অন্ধকারে ।
আমলকী তলে সূর্যঘড়ির সাইরেন অবসরের নাগরিক প্রহর
উপেক্ষিত অরণ্যে অবসন্ন মাঠের পিপাসায় ছায়া-রৌদ্রের গান ।
নিষিদ্ধ অন্ধকার ফুটেছে বিষণ্ণ আলোয়
পাড়াগাঁর শ্যামল নক্ষত্রের দেশলাইয়ে ঘুমিয়েছি
অবসাদের পিপাসায়,
দূরের মায়াবী হংসমিথুন ধরে আছে নিরালা
পৃথিবীর আড়াল
মরীচিকা মিলনের শিরিষের সাইনবোর্ড ।