উৎসর্গ : যে মায়াবতী নীরবে এসে প্রস্থান নিয়ে গেছে বেদনায়


                
বিরান শিরিষ জংশনের গহন মসলা-মসলা জীবন
নির্জন শালুক-রক্তের কণ্ঠস্বর মিছিলে
উঁচিয়ে রাখে স্লোগানের বেয়নেট
কবিতার স্টেনগান মাছরাঙাবিপ্লবে শতাব্দীর অনন্ত প্রহর
মায়াবী পার্কে আসমানের ছায়া
অন্ধকারের ঝিঁঝিঁ পোকা হয়ে ডাকে চোখের আলোয় ।
সূর্য পুড়ে আলোবৃক্ষের কপালে
নদীর স্তনের ডালে ট্রিগার চাপে জঙ্গলের দেহখাঁচা
চায়ের কপালে রৌদ্রছায়ার ছাই শিশির-মহুয়া পিরিচে
ভাত আর ভাতারের চৌকাঠে লেবুঘ্রাণের প্লেট
লাটিম-আলোড়নে নগ্ন চোখ অরণ্যের ল্যাম্পপোস্ট জ্বালিয়েছে
প্রেমের বয়ানে ঋদ্ধ সংসারের বায়স্কোপ
তোমায় দিলাম কবিতা-কবিতা জীবন ।
তোমার চোখের বৃক্ষ বিপ্লবের মুন্সিয়ানায়
মিছিলে মিছিলে দেবে রুদ্রবীণায় শব্দচাবির আহ্বান
চিরস্থায়ী কোকিলের বসন্তী সার্কাস
ঘাসের শব্দে বাজায় সেয়ান খোয়াবের নূপুর ।
তোমায় দিলাম হরিণ-হরিণ লাবণ্য
তোমায় দিলাম নদী-নদী আয়ু
পায়ের দৃপ্ত আওয়াজে আমারা শুকাবো সমুদ্র ।