সে পথে জোনাকীও ছিল না ;
সালংকারা বধূ তখন জড়সড় হয়ে পালকিতে বসে ।
বেহারাগুলো দৌঁড় লাগালো উল্টোপথে ;
শুভ্রবেশী টোপর পরা সেই ছেলেটা-
যে কিনা দুঘন্টা আগেই হৃদয় আদানের চুক্তিতে সই করেছিল ;
ঊর্ধ্বশ্বাসে চম্পট দিলো হরিণ শিশুর ন্যায় ।।
বধূ পালকি ছেড়ে বাইরে আসে
আন্দাজে খুঁজতে শুরু করে চকমকি পাথর !
তীক্ষ্ণ ফলার মত চাপড় মারে সভ্যতার গালে
বধূর দুহাতের বেলোয়ারী চুড়ির ঝনঝন ।
গল্পটা কিন্তু এখানেই শেষ ।
এমন বহু-হুবহু না - শেষ গল্প চলছে সেই কবে থেকে -
এপথে দৃষ্টি-বিলাসের জন্যে জোনাকী আসে না ,
জোনাকী হাসে না !!