ব্রহ্মপুত্র আর হিজল, সেতো চির পুরাতন;
তবু বুনলো সেদিন চিরনতুন রূপকথা ।
মনে পড়ে? তোমার আঙুল ছুঁয়ে ছিলাম সেদিন
মাধুকরী খোল ছেড়ে হাতে তুললো একতারা ;
চন্দনের সাদা আতর, দূর্বার দুর্বার প্রাণ
উচ্চারিত হলো শতাব্দীর সর্বপ্রাচীন প্রতিজ্ঞা !


হিমুর হাতে নীল পদ্ম, সে আর নতুন কি ;
তবু রুপার গায়ে সেদিন দ্রৌপদীর গন্ধ ।
বিকেল গড়িয়ে একটি রাত কেটেছিল সেদিন
শিশির-সীমন্তে  চির স্থবির অচিরপ্ৰভা;
আহা রে নিশুতি ; আহা ! সে সকাল
গুঞ্জরিত হলো শতাব্দীর সত্যতম স্পন্দন!


আমার পরনে লাল শাড়ি, আজ একশো বছর পর;
গর্ভপাতের লাল রক্তে আলেয়া পুড়ছে ভীষণ রকম ।
নীল পদ্ম খাদ্য হয়েছে বহুদিন
ব্রহ্মপুত্র আদর দিয়ে পাঠায় না আর চিঠি ;
বস্তাবন্দী হিজল ! শিখর-শিকড় এক দড়ি তে বাঁধা
আহারে শতাব্দী ! জর্জরিত চির - নির্মম পরিহাস !


মধুকর গান তুলছে তবু ; হাতে তার কমণ্ডলুর জল;
একটি তারেই হাজার বেদন; তবু স্বপ্ন ওড়ায় ধুলো।
যেমনি করে চন্দন তার আতর ছড়ায় রাত্রি দিন
সুরভিত সে চাঁদের বাড়ি ছোঁয় !
হয়ত ভাবে ফিরবে রূপা ; আঁচল ভরে অরূপ রতন ডালি!
আহা এলপিস ! জ্বর নামুক আশার কুসুমকলির !