রংবেরংএর প্রজাপতিটা খেলছিল হাওয়ায়
ফুলের সাথে সে বলে কথা ও পরাগ তাকে হাসায়...
সে যখন করত গান সবাই হত মৌন...
সবার কাছে সে ছিল ছোট্ট পরী যেন...


তখনও ঘটবে ঘটনা তার ছিলনা জানা!
সে যে সবে আট জানেনা  ঘৃণ্য ছলনা..
নিষ্পাপ সে প্রকৃতির  সন্তান তা জানত
হাওয়ার ডানায় ভর করে পাতায় পাতায় খেলত।


একদিন তার ওপর নজর গেল এক নীচ মাকড়শার!!
বিশাল মোটা পেটে কখনও ক্ষিদে মেটেনি তার..
বুনল সে কাঁটার জাল প্রজাপতির তরে...
লোভী জিবে ঝড়ল লালা লাভার মতন করে....


অবশেষে একদিন আটকালে সে শয়তানের জালে...
ছোট্ট সে কাঁদল অনেক ঈশ্বরের পদতলে...
শুনল সেই ক্ষুদার্ত শয়তান আর কেউ নয়...
কাঁটার জালে জড়ালে তাকে সে পাপিষ্ঠ নির্দয়...


শয়তান তার বীষদাঁত বিঁধলো প্রজাপতির বক্ষে
অচেতন করে ফেলে দিল বন্ধ একাকী কক্ষে...
নির্মম সে শুষে নিল তার সব দিনের পর দিন
প্রজাপতির খোয়াব - ব্ল্যাকহোল, দেহ পরাধীন!


এরকম নির্যাতিতারা আরও আছেন আলোর আড়ালে..
যাদের খুবলে খাচ্ছে শয়তানেরা প্রতিপলে
সুরায় উন্মত্ত ওরা লিখছে সমাজের ধর্ম
ছদ্মবেশে সেই ধর্মেরই আড়ালে চলছে
কুকর্ম!


জালে জাল চারিদিক অদৃশ্য অন্ধকার
জাতহীন পীশাচেরা সমাজে আজ একাকার!
হে পরআত্মা নড়কের আগুনে এদের করো দান...
নোংরা গুলো ঝেটিয়ে ফেলে পূর্ণ হোক সূর্যস্নান।