নিদারুণ শূন্যতার বাণে জর্জরিত হয়ে
পৃথিবীর বুকে ঘুমিয়ে পড়েছে ঐ সূর্য,
আঁধারের কোলে জমেছে কালো মেঘ
কোনো এক অবেলার অবহেলিত সময়ে।
বিস্তৃত নদীবক্ষে চাষ হয় তবুও মানবতা
যেখানে প্রবল স্রোতে ভেসে যায় রক্তের ধারা,
সম্মোহিত বাস্তবতার কাছে বলিদান হয়
ক্ষুধার্ত শিশুর কান্নার অপার্থিব আওয়াজ।
বিদগ্ধ আকাশের আঙিনায় শুধু পোড়া দাগ
নিহত রাতের বুকে মাথা কুটে মরে জোছনা,
তবুও মানুষ জন্ম নেয় তাঁর আচ্ছাদিত স্বপ্নে
তবুও জীবন বয়ে চলে তার আঁধারিত প্রতিবিম্বে।
অবিনশ্বর ঈশ্বরের চিরন্তন অনুগ্রহে ধ্বংস হয়
পৃথিবীর ওপারের আরেক পৃথিবীর মানচিত্র,
চন্দ্রাহত কুয়াশার আড়ালে বাস করা আলোয়
আত্মহত্যা করে তখন আরাধনার মুখোশধারী!
অবিনত উচ্চ শির আজ মাথা নুয়ে কুর্নিশ করে
ধর্মের চাদের ঢেকে থাকা অধর্মের শরীরকে,
মৃত্যুহীন জন্মের অপেক্ষায় তখন বসে থাকে
আদরের সরলরেখায় বিভাজিত অনাদরের সমুদ্র!