আহামরি কুসংস্কারি কিছু মানব,
যত পাপ তত পার্বণ লক্ষণ দানব।
গাঁজার সিলিমে টান জয় বাবা ভোলানাথ,
প্রনামীর অর্থে বিশাল মন্দির তুষ্টে লোকনাথ।
নিলাচলে মায়ের কাছে কিংবা হরিদ্বারের কুম্ভে,
নাগা সন্যাসীর তান্ডব নাগালের বাইরে,
এহেনো সভ্যতায় জড়ি গুটি তাবিজও কাজ করে।
অনেকেই হয়তো ধনী করে হীরা পান্নায় জহুরীকে,
সভ্যতার নগ্ন চিত্র এখনও মনোমুগ্ধকর,
অজন্তা ইলোরায় তারই হদিশ দেখে ভ্রমণে বারবার।
দেখেছো কি তারে, যা ছিলো অতীতের ভাস্কর্যে,
এখনও সে কি প্রকৃত অর্থে সভ্যতা বাস্তবে?


পার্বণে উৎসব ব্যস্ত জীবনের আনন্দের দিন,
নিয়মেই হোক বা না হোক কিছু বাহানায় লেনদেন।
খুশির দামে কিছু পুণ্য কামাই নিঃসঙ্কোচে অসীম দান,
ক্ষুধার্থের চোখে হাসি…মুখে ভাত.. এইতো পার্বণের প্রতিদান।
তেরো পার্বণের মাঝ পথে আছে অনেক আধুনিক খুশির ঢং,
জন্মদিনের কেক্‌ কেটে শ্যাম্পেনেও আছে তেমন রঙ।
বিয়ের সাথে বোতল খুঁজে  টাই কোটের বুক পকেট,
ঢুলু ঢুলু চোখ চেয়ে থাকে কোন সুন্দরীর গলার লকেটে।