সেকালের নির্ভীক অহংকার আজও কাঁদে নিভৃতে,
অবিকল উদন্ড প্রতাপী হুংকার আজও নিঃশব্দে দেওয়াল চিরে।
ফাটলে ফাটলে আস্ফালন নির্দ্বিধায় মাথা উঁচু করে,
চৌপাশের দুর্ভেদ্য অভিমানের মাকড়সারা নীরবে চলে দেহপ্রান্তরে।
যখন থেমে যায় সংসারের সব কোলাহল,
সুনীল পৃথিবী ঢেকে যায় নীরবতার চাদরে,
পিপিলিকাও তখন স্বাধীনভাবে খায় অহংকারের টুকরোগুলোকে।
লোকালয়ে ক্লান্ত জোনাকীরাও যায় ঘুমিয়ে,
অনুসন্ধানে ক্লান্ত মনে নিজেকে খুঁজি নিজেরই ভেতরে…
যাযাবর মন ঠিকানার খোঁজে একাল ছেড়ে সেকালে বিচরণে,
অহরহ যেনো নিবিড় সম্পর্কের বাঁধনে বাঁধা থাকে একাল সেকাল।
স্মৃতির ঝাপ্টায় নড়বড়ে হলেও ঘাঁটে বাঁধা ডিঙ্গি একটু নড়েচড়ে।
সে যে বাঁধা আছে সেকালের সাথে যেখানে যুবকের পৌরুষিকতা ছিলো,
যেখানে উন্মাদনা ছিলো….লক্ষ্য ছিলো উজ্জ্বল ভবিষ্যতের,
অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার শক্তি ছিলো,
ছিলো কলেজের সেই সুন্দরীকে ভালোবাসি বলার সাহস,
ছিলো শ্রদ্ধায়, পা ছুঁয়ে প্রনাম করার প্রবণতা, কিন্তু এখন?
যোগসূত্রে কেবল আছে একটি অতিশয় ক্ষীণ মনোবল,
কিছু হবার নয় শুধুমাত্র অহেতুক সম্বল।