হৈচৈ কোলাহলে লোকারণ্যের ভীড় ধ্বনিময় বাগ্মীর বক্তৃতা,
ফুলের মালা পরিহিত সুসজ্জিত বক্তা প্রাণময় কাব্যভাষা।
বজ্রকন্ঠে স্বীকারোক্তি স্বভুলের চেয়ে বিষ ছড়ানোয় পারদর্শীতা,
শান্ত বাতাবরনে অশান্ততার বীজ বুনে হৃদয় চাষের প্রান্তরে।


গুন্ গুন্ গুঞ্জন চারিদিকে ছড়িয়ে জল্পনা কল্পনায় আশার ধুন,
বেজে উঠে বিন্ লিকলিকিয়ে মন চলে অজানার জলতরঙ্গের ধুন।
টুং টাং শব্দে কাঁপে হাত কাঁপে পা স্টেজের পর্দায় আকাঙ্খার ছবি,
স্পন্দনে শুন্য হতাশা শুকনো ঠোটে বক্তৃতায় ক্ষীণ আশার আভাষ।


কনকনে শীতে কুয়াশার প্রলেপে আবছা আলোর ত্রুটি বিচ্যুতির বিকিরণ,
চোখ ঠিকরে একটু পরেই হাওয়ায়  বিলীন সকল আদুরে শব্দ কঠোরে  রুপান্তর।
রেখে যায় স্মৃতির স্নিগ্ধ পরশ ঐ গাছের ভিজে পাতায় ঘাসের সূচাগ্রে শুধু প্রাতে,
ভালোবাসার জন্যে ছুঁতে গিয়েও কেনো যেনো মনে হয় সে তো আমার নয়।


ভালোবাসার আবির্ভাব রঙ্গমঞ্চে নীল সাদা গেরুয়া পতাকায় এক ঘন্টায়,
সকলের জন্যে আমরা আছি রুদ্ধশ্বাসে বেদনা গুচায় অপামর জনসভায়,
উৎকণ্ঠায় সকল জনতা এবার বুঝি অন্ত হবে যা ছিলো এতদিনে বেদনাময়।
নগণ্য দরদী মানব হাত পাতে কচুপাতায় একবিন্দু আশার বাতি জ্বালায়।