আংঠার আগুনের শিখা কারও চোখে পড়ে না,
অনুভবে কেবল উত্তাপ তীব্র দহন জ্বালায় নিজের কাষ্ঠে নিজেই পুড়ে।
প্রয়োজনে ব্যবহৃত কাষ্ঠের মূল্য আকাশ ছোঁয়া প্রেমের অনুভূতিতে হয় বিলীন,
অপ্রয়োজনে রেখে দাও অন্তর্দাহে পুড়তে দাও যখন তখন।
একটু একটু করে তুষের আগুন জ্বলে বন্ধুত্বের স্বার্থপরতার দেশলাই কাঠিতে,
বন্ধুত্বের সম্পর্কে স্টুডেন্ট লাইফে অগাধ বিশ্বাস ভালোবাসা….


চিরজীবনের যেনো বন্ধুত্বের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ।
অঙ্গীকারবদ্ধ বন্ধুত্ব কখন দায়বদ্ধতার সীমানায় নিঃসঙ্গতার উঠোনে আগাছা হয়,
কেউ জানে না...
কালের সিঁড়িতে কার সাথে কখন আগাছাও জন্মে কেবল প্রয়োজনে।
হাটে ঘাটে বাজারের সংসারে হরেক মালের মত বন্ধুত্ব সেজে থাকে…রঙ বাহারে..
ইচ্ছে হলেই গলায় বন্ধুত্বের হার ঝুলাতেও কুন্ঠাবোধ হয় না নির্লজ্জ মানুষের।
কিছুসময় একসাথে থেকে উদারতার ভান্ডার উপচে পরে দায়সার ভেবে,
হঠাৎ করে সময়ের পরিবর্তনে স্কুলের অন্তরঙ্গতাও যেনো একঘেয়েমী হয়ে উঠে।
উষ্ণতার আবেশ শীতল হয়ে নিজের ছাঁচে কঠিন হলেও…
আংঠার নির্বাপিত আগুনের উত্তাপ কারও কাছে গিয়ে পৌছায় না।
কঙ্কালসার কাষ্ঠে ছাই হয়ে সমর্পিত বিরহী মন আশায় থাকে সারাক্ষণ…
যদি স্মৃতির আকাশের পরাকাষ্ঠা সজীবতার পরশ পায়….
মেঘের গায়ে বৃষ্টি লেখা সহানুভূতির শব্দে…..
অঝোরে কাঁদে নিঃশব্দে জীবনের ভালোবাসার ছাইয়ের মুহূর্তে।