আমি দেখেছি তোমায় কবিতার পাতায়…
দেখেছি তোমায় বাঙালির হৃদয়ে।
এসেছিলে তুমি আনন্দের দূত হয়ে….
আজও আমরা বসে আছি তারই ছায়াতলে।
কদিন হলো বলেছিল সে….
তোমায় নিয়ে কবিতা লিখতে….
রেখে গেছো তোমার সুরভি যে লেখনীতে,
আমার কি সাধ্য তোমায় নিয়ে লিখতে?
তোমার কলমে কি যে জাদু আছে,
তুমি ছাড়া আর কে বুঝাবে?
তোমার মননশীলতা অজানা নয়,
তবুও তোমায় নিয়ে লিখতে ইচ্ছে হয়।
গানের কলিতে মধুর কবিতা অন্তরে,
নাটকের সংলাপে তোমারই বার্তা..
দিয়েছো উপহার বিভিন্ন চরিত্র যেথা..
কি করে লিখি বলো তোমাকে নিয়ে?
হারায় ভাষা আমার কলমে,
লিখতে গিয়ে তোমার সৃষ্টিতেই ডুবে।
সাঁঝের বাতি জ্বলিতে না জ্বলিতে,
কেনো নিভু নিভু হয়ে রয় নিজের সত্ত্বা,
সবই তো লিখেছ তুমি…তোমার অসীম পরিসীমায়
ভ্রমরের গুঞ্জন সে কি শুনিতে না পায়,তোমারই ভাবনায়
কবিতার ফুলে ফুলে তোমারই রেণু যে ছড়ায়।
আজিকে আমার হৃদয় চঞ্চল…
তোমাকে দেখিতে না পাই…
কি বলি ওগো প্রাণের ঠাকুর…কলমের ডগায় তোমার আঁচড়
প্রাণের মাঝে নিরবতা কেনো তোমাকে চায়…
কবি তুমি নও,তুমি শিক্ষার মস্ত বড় ছাউনি…
বাংলায় তুমি..বাংলাকে দিয়েছ কেবল….
প্রতিদানে তুমি কিছুই নাওনি।