হিসাবের জমাখাতায় মাত্র কয়েকটি বছরসম দিন,
আপ্লুত জনমের দিন থেকে বেড়ে উঠে যে জীবন।
বর্ণনাতীত আহ্লাদে শৈশবের শেষে কিশলয়ে পদার্পন,
না জানি কেনো রে এই ধরাতল এতো যাতনায় বিলীন।


সেদিনও তো ছিলো সুস্থ সবল নির্মল সুন্দর পৃথিবী,
দু চারটে দিন পেরিয়ে সহজাত বুদ্ধিতে উন্নত মানুষ,
ভুলে যায় সহজ সরল প্রবৃত্তি উদ্ধত যৌবনের প্লাবনে,
কৈশোরের উদযাপনে যা ছিলো সহজ সরলতা মনে।


বাঁচার জন্যে হন্যে মানুষ পিছু ফেলে আসে সরলতা,
হিংসা ছলনা আঙ্গিক শোভা বৃদ্ধিতেই যেনো সফলতা।
সততার কপালে আঘাত দিয়েই বেঁচে উঠার হঠকারিতা,
আদায় করতে পারলেই সম্পূর্ণ যৌবনের মাধুর্যতা।


দুপুরের সূর্য ঢলে পরে একদিন বিকেলের পশ্চিমে,
ম্লান স্নিগ্ধ কোমল বায়ু বহে চলে আবার সূর্যদয়ে।
ফেলে আসা দিনগুলো মনে করিয়ে দেয় শৈশব,
তখন বয়স সবে ষাট উপার্জনের ভান্ডার সমৃদ্ধ।


হায়রে জীবন দু চারটে দিন জীবনের যবনিকায়,
আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় ফেলে আসা দু চারটে দিন।
স্মৃতির ছবিতে ধরা দেয় কোমল স্বচ্ছ পবিত্রতা,
ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে রক্ষনাবেক্ষনে থাকে নির্জনতা।