রিমান্ড রুমের সেই ছেলেটি আজও বেঁচে আছে,
বদান্যতায় করা ভুলের প্রায়শ্চিত্যতে ভুগছে প্রতিদিন।
জুভেনাইলের শাসনে সে পরিত্যক্ত, অবিন্যস্ত,
ওয়ার্ডেনের ফরমাইসে করে দিতে হয় কাজ,
অযাচিত কাজের পাহাড় মস্তকে ভীষণ আজ।
কিশোর মন উদাস পাগল খুঁজে বেড়ায় স্কুলের মাঠ,
নিত্যদিনের আনুষাঙ্গিকতায় পড়ার শেষে কবিতা পাঠ।


শাস্তির পাঠ চুকিয়ে বইয়ের পাতায় নিমগ্ন মন….
সেদিন ছিলো অপরাধী আজ সে জ্ঞানবুদ্ধির উপন্যাস,
মানুষ করবে কি ক্ষমা সে তো করেনি কারও সর্বনাশ।
সে যে কিশোর শৈশবের কচি মন যে এখনো নির্ভেজাল,
সদ্য ফোঁটা ফুল যে চায় ভালোবাসা,স্নেহ,মমতার পরশ…


ক্ষুধার্ত মায়ের পেটে গর্ভধারিত ছেলেটি লাথি মেরেছিলো,
দোষ কি তার একটুকু খাবার খোঁজা?
মায়ের পেটে দরিদ্রতার বোঝায় খাবার ছিলো না।
প্রসবকালে মৃত মায়ের ক্ষুধার্ত পেটে যে ছেলেটি জন্মেছিলো,
বেঁচে থেকে প্রতিবাদের ভাষায় কি প্রকাশ পাবে না?
কবিতার পাতায় লিখেছে সে জীবনের প্রতিটি অধ্যায়….
কষ্ট ফোটে ফুল হয়ে অপরিচিত কবি লিখে যায়....
একটি কিশোরের দরিদ্রতার ইতিকথা।