বর্ষা আমার খুব প্রিয়
কারন বর্ষায় প্রত্যহ রাতের মধ্য প্রহরে
নূপুরের শব্দে আমার ঘুম ভাঙত
আমার ঘরের চাল ছিল টিনের
মরিচা ধরা টিনের লাল রঙের
সে মরিচা ধরা টিন আমাকে নূপুরের শব্দ শুনাত
আমি দিশেহারা হয়ে শুনতাম
আমার প্রতিটি রক্তকনা , শিরা-উপশিরা
রন্ধ্র-লোমকূপ ছন্দে পাগল হয়ে যেত
প্রিয়তমা আমার কল্পনায় এসে ধরা দিত
একি তবে প্রিয়তমার নূপুরের শব্দ , ছন্দের ঝঙ্কার
আমি জানতাম না , সে নাচতে পারত কিনা ?
কিন্তু সে আমার সন্মুখে নাচতে চেয়েছে
আমাকে মুগ্ধ করতে চেয়েছে
আমাদের মাঝে ছিল মুগ্ধতার ছড়াছড়ি
আমাদের দৃষ্টিতে ছিল পূর্ণতা
ধির ঝাপটা বাতাস এসে আমাকে ছুঁয়ে যেত
একি তবে তার শাড়ীর আঁচল ?
আমি জানি , তার মসৃণ শাড়ীর আঁচলের ছোঁয়ায়
বাতাসও মসৃণ হয়ে ওঠে
বাতাসে কি তার গায়ের গন্ধ ?
বর্ষা আমার খুব প্রিয়
সে আমাকে টিনের চালে নূপুরের শব্দ শুনাত
যা এখন অতীত
প্রিয়তমাকে কল্পনায় এনে দিত
তার বাতাসের মত মসৃণ শাড়ীর আঁচল
আমাকে ছুঁয়ে যেত
ছুঁয়ে যেত তার ভেজা চুল
কোমল হাতের স্পর্শ , তার গায়ের গন্ধ