অবদান


বাংলাদেশ তুমি ছিলে অখন্ড ভারতের বজ্ঞমাতা
তোমাকে নিয়ে করলো পশ্চিম পাকিস্তান শাখা,
তোমার প্রেমে মগ্ন ছিল ব্রিটিশ ইংরেজি
নবাবের সাথে মীর জাফর করেছিলো বেইমানি।


বাংলাকে করতে হয়েছিল ১৯০বছর গোলামী
১৯৪৭সনে আলী জিন্নাহ করলো দ্বিজাতিতত্ত্বের সুনামী,
সেই থেকে শুরু হলো পূর্ব পাকিস্তানে নির্যাতনের
আসামী,
৫২তে দিলো প্রান,শতশহীদের আর্তদানে মোদের
মাতৃভাষা পেয়েছি।


৬৬আন্দলন ৬দফা মুক্তির সনদ মুজিবের বাংলা
কারাগারে পূর্ব বাংলা আগরতলার ষড়যন্ত্রের মামলা
১৯৭০নির্যাতনের নয় বহুদূর পাকহানাদার এসেছে,
অসংখ্য মানুষকে জানোয়ারের দল ছিঁড়ে খাচ্ছে।



এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম সেই বজ্ৰ সংগ্রামী কন্ঠর,
বিদ্রোহী কবির রণসংগীত মুক্তিবাহিনীর মরণকামড়
মোড়া পেয়েছি ছাত্রদের তাজা রক্তের মাতৃভাষা
তবে কেন নেই জাতীয় সংগীতে তাদের ছায়া।



এই বাংলা নজরুলের বিদ্রোহের বাংলা
এই বাংলা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা
এই বাংলা ত্রিশ লক্ষ শহীদের বাংলা
এই বাংলা ভাষা শহীদদের বাংলা।



হে বীর জাগো জাগো জাগার সময় নিকটবর্তী
হে তরুন তরণী লাগাও পাল সাজাও রণতরী
যুদ্ধ করো যারা মুজিবের সাথে করেছিলো বেইমানি
অস্ত্র ধরো তাদের বুকে, যারা করেছিলো রাজাকারী।



আমি হারাবো না ওগো বিদেশিনী রে
         আমি হারিনি অতিতে রে,
নরাঘাতক যেদিন চালিয়েছিলো গুলি পিঠে রে
   আমার সংগ্রাম বৃথা যেতে পারে না রে।



ওহে স্বাধীনতার পরবর্তী তরুণী তরুণেরা
   তোমাদের দিয়েছি লাল সবুজের বাংলা
যখন আমি যুদ্ধকরি, আমার ছয় মাসের বাচ্চা
শিশুটির কি অপরাধ, নতুনবধু হয়েছিল নির্যাতিতা।



আমি পারতাম কাপুরুষের মতো পালাতে
তোমারা হাড়িয়ে যেতে দিওনা আমাদেরকে
ধরে রাখো বাংলার ইতিহাস, সংগীত রুপে
নয়তো কবিতার সুরে, নয়তো গানের দোলে।।