ঈশ্বরের অনিচ্ছায় বুঝি ফলেছে ফসল ?
কাশ,দুর্বা, শেয়ালী কাঁটায় ভরেছে ভূঁইয়ে।
ভূঁইফোড় আগাছা-আদমের গন্ধম,
শোনেনি বারন ।

আদিম নয়-আদি
আদি বসত ভিটে - আরো আদি
ঝরঝরা ছাউনি চাঁদোয়া।
খুব অলস খেলা করে জল-জোসনা।
অনাহুত ঢুকেপড়ে রোদ- পোড়ায় চৌকাঠ ,
সিদ্ধ হয় মেঝের সাথে-কতক অপুষ্ট্ যিশু।

অকৃত্তিম অবজ্ঞার শেঁকড় ফসলি ভুঁইয়ে।
ভীত কৃষক ত্রস্তহাতে জড় উপড়াতে ব্যাস্ত।

স্পন্দিত হয় নাকের বাঁশি,বুক
গাঢ় নিঝূম রাতে -
সাঁওতালী কন্যার চুলঝরা স্নিগ্ধ ঘ্রানে।
আমি আবার ও ঈশ্বর খুঁজে পাই।

ও পাড়ার মূর্মুদের বৈঠকখানায় বসে
আরাধনার রাত-
ঈশ্বর টলানো প্রার্থনার নাচ।
বেশরাদের বাড়ীথেকে ভেসে আসে
মেঠো ইঁদুর পোড়া স্বাদালো গন্ধের সাথে,হাঁড়িয়ার গান-

ঘুমাও সাদামাঠা মানবী তুমি-
রাত পোহানোর আগেই আমি হয়ে
উঠি তোমারই মানব।

(কৃতজ্ঞ-কবি এক দূর্বাসা ও শুন্যস্থান পুরন)-