বুকের খাদে তিলতিল ক্ষত,
প্রলেপহীন মায়ার অবজ্ঞায়-
খুব দগদগে হয়।

সীমাহীন অবহেলা আর উৎকন্ঠার আঁচলে
মুখ লুকোয়।
স্বপ্ন খোঁজে ছায়াতলে,
অস্তিত্ব চাই হা-ঘরে জীবন।
জীবন কি বাঁচে?
উড়ু কথায় সময় ফোঁড়ে-
আধো আধো নিঃশ্বাস,
বুক ভরেনা- দুমোট প্রশ্বাসে।

ডানা ঝাপায় পিটুইটরি-
ঝাপটা লাগে মেঘবুকে- নির্লিপ্ত,
ভেসে যাওয়া মেঘ, ঠিকানা ছাড়া।
সিঁদুর রঙা মেঘ মায়া গড়েনা, সিঁথিতে।
ফেরার সংশয়ে ঢোড়ের মত ভাঁজ পড়ে
মসৃন ত্বকের প্রান্তে,
সাধহারা অবহেলার অবগুণ্ঠনে-
নতমুখ।

তবু ঠাঁই নেই, সুখ-সারীর কল্পকথা নেই,
জীবন আছে তাই বেঁচে থাকা- স্বপ্নহীন।

শোয়ার বালিশের আদ্রতা জলচ্যুয়া,
জলভেজা পিঠের ছায়া।
প্রতিরাত- জোনাকহীন ঘুটঘুটে আঁধার,
প্রত্যাশা নেই- উদাসী তারা,
নক্ষত্রের মিটমিটে রহস্য হাসি
স্পষ্টঃত জানিয়ে দেয় দিক নির্দেশ।

বেঁচে থাকা গ্রহের দশা,
আজন্ম সময় জুড়ে শনির সাড়েসাতী,
অসাড় হয় মস্তিষ্ক -
বেঁচে থাকা অন্তরায়, পৃষ্টা জুড়ে।
আঁচড়ের ফাঁকাটুকুও নেই।

তবুও জেগে থাকা,
জোছনায় ডুব সাঁতারে
বুড়বুড়ি গড়ে জল-বাতাস,
টুসটাস ফেটে যায়-অবহেলার নির্লিপ্তে।

মাঝজলে প্রশ্বাসের প্রক্ষেপ ঢেউ তোলেনা,
জলডুবা হয় জীবন,
বুঁদবুঁদ কিছুই নেই জলছাদে-স্থবির।