প্রথম পর্ব

স্কুল লাইফ-নাম্বার ফাইভ।
কলারের ভরাট স্বর,
উৎকন্ঠিত হাউজি খেলোয়াড়।

পাশ থেকে লম্বা চুলের ম্যাডাম
বলেদিল জমিরের মেয়ে।
আমি বললাম নাম স্বপ্না।

কল চলছে-ইতিমধ্যেই মিলেছে লাইন,
টোটাল হেভেন-লাকী সেভেন,
ম্যারাডোনা নাম্বার টেন।
স্টান্ডবাই-দুভাই নাম্বার ইলেভেন।
এজেড লাইফ ওয়ান এন্ড ফাইভ,ফিপটিন
ওপাশ থেকে উচ্চস্বরে ভেসেএলো ই-য়ে-স
কাটাকুটি পূর্ণ হলো-ফোর কর্নার।

প্রায়ই হেটে যাওয়া স্কুলপথের দুপাশে
বুনোফুল-নানা রঙমেখে পরাগ ধরে।
খুব ইচ্ছে হয় নাক ডুবিয়ে গন্ধনিই।
নাকচাবি গড়ি বিকেল রোদে।

দেখেছিস ভালোকরে-ঐযে স্বপ্না-
এক্কেবারে পরী,
চিনলি না?আরে রাতুলের বোন।

ম্যারিজ লাইফ ওয়ান এন্ড এইট
পুর্ণ হলো কারো ইয়েসে আরো একটি লাইন।
রোদ ন্যুয়ানো বিকেল দেখেনা
আজকাল চুলের বেনী,
বরং রোদপোড়া কাঁচুলীর গন্ধেভাসে গোধূলী,
ব্যাস্ত সাঁজ গড়ায় নিশুতি গল্পের স্বপ্নে।

কলহয় মাদারস লাইফ,টু এন্ড ফাইভ।
পাড়া জুড়ে ফিসফিস বাবা হয়েছে..ওমুক।
আমি এখন কারো মা আর তার বউ।

থ্রি-এইট,ফাইভ-জিরো সিক্স-ফাইভ
এভাবে কল আসে,
ব্যাস্ত হাতে কাটে ছকঘরের সংখ্যা।
কাটা পড়ে ধী-ঈ-রে চুলের কালো রঙ।
ক্ষয়ে বাড়ে দাতের কোণ।
দুধে আলতা ত্বক, মেটে রঙে।