রাত্রির বদনে চুম্বন করি অন্ধ মরিচীকা-
শয্যাসনে উন্মাদ দেহ- পাঁজরে মহাকালের পেন্ডুলাম নিয়ে
ছুঁড়ে ফেলি নক্ষত্র, চাঁদ আর হৃৎপিন্ড ।
হাতের সুস্পষ্ট বিভাজন রেখা আর মেঝের
কাঁটাতারের মানচিত্র থেকেই আমি আত্ন-স্বৈরাচারী।
আমি আমাকে তৈরী করি অনন্ত বৈভবে, দিবস-রাত্রি
ধ্বসে দেয় আমার নিঃশ্বাস আর অস্থি-মজ্জার কীট।
বর্ণান্ধ চোখ দুটো পারমানবিক বোমা, শীতল
আরও চকচক করে নতুন নশ্বর মানবের কৌতুক।
অবলীলায় স্পর্শ করি বারুদের স্প্রিন্টার, বন্দুকের
ট্রিগার, প্রিয়তমার লালায়িত ওষ্ঠাধর।অঙ্গচ্ছেদিত হয়
লৌহিত তলোয়ার কিংবা মাংস-পিন্ডের কামান দিয়ে।
-পৃথিবীটা ছোপ ছোপ রক্তের দাগে ভরে গেছে।
-----------------------------------------
(তারিখ-২৯/১১/২০১৫, গুলশান-২)