একযুগ পরে যদি দেখা হয় অনামিকা?
তবে হয়ত, চোখে চোখ রেখে আজকের মত;
কথা হবে না।
সময়ের স্রোতে জীবনের নিয়মে,
ততদিনে বদলের হাওয়ায় স্পর্শ করবে।
প্রচণ্ড ঝড়ে বিধ্বস্ত নগরের স্তব্ধ সু-শীলতায়,
অঙ্কিত হবে সেই অপরূপ মুখশ্রী!
-আরো একবার প্রেমে পরার মত।


সদ্য মৃত্যুকূপ থেকে প্রাণ পাওয়া,
অপরাধী চোখ মুক্তির আশায় ছটফট করবে।
দীর্ঘ বারো বছরে জমাট বাধা,
নিরুত্তর প্রশ্ন গুলো পিছনে ফেলে জানতে চাইবে, কেমন আছি?
নীরবতা ভঙ্গের সূত্রধরে মুখ তুলবো_
তবে উত্তরের বদলে ঝরবে চোখের জল।


আয়ুর চাইতে স্মৃতির পাল্লাটা ভারী হয়ে উঠেছে,
জীবনে গ্লানি টানতে টানতে আমি ক্লান্ত পথিক।
ছন্নছাড়া সংসার আমাকে যাযাবর আখ্যা দিয়েছে,
অনিয়মের সুযোগে শরীরে বাসা বেধেছে বড় কোন রোগ।


ভালোবাসা তখন হয়ত নতুন প্রজন্মের দখলে।


-নির্লজ্জের মত কবি চিরপ্রেম পিয়াসী।
এভাবেই হয়ত নতুন কোন অভিযোগে,
কিছুটা অধিকারে অপরাধী করবে।


বারো বসন্তের পর...
অপরাধ আর বোধকে ছুঁতে পারবে না।
ভালো থাকার উদাহরণ গুলো,
অযাচিত মনে হবে।
মিছে শান্তনায় অতৃপ্ত হৃদয়ে,
সেদিন হয়ত আরো একটি কবিতা লেখা হবে।