কি আছে ওই হাসিতে, কি আছে লুকিয়ে?
সবার অগোচরে যা আমাকে আন্দোলিত করে,
চিরল দাঁতে মুক্তা ঝরা বর্ষায় আমি ভিজে যাই;
অজ্ঞাত কারণেই হয়ে যাই নির্বাক।


প্রচণ্ড আওয়াজে মৃদু কম্পন হয় দেহমনে,
আমি তখন হয়ে উঠি অন্য কেউ-
সে এক ভিন্ন আমি, যে নিজের ভিতরে খুঁজে পায়না নিজেকে-


হে অনন্যা, কি আছে ? কি আছে তোমার হাসিতে!
-আছে হাজার বছরের শত যন্ত্রনা আড়ালের ইতিহাস।
আরো আছে ব্যর্থতার দায় লুকানোর সংগ্রাম।
আছে স্বাধীনতার সার্বভৌম মুক্তি।


তাইতো তোমার ওই হাসি আমাকে মনে করিয়ে দেয়_
সাতচল্লিশ, বায়ান্ন, উনসত্তর,একাত্তর।


-হ্যাঁ মনে পড়েছে, এই হাসির জন্যই-
আমার ভাইয়েরা সেদিন অস্ত্র তুলে নিয়ে ছিলো।
সবুজ মায়ের বুকে অঙ্কিত হয়েছিলো,
ত্রিশ লক্ষ শহীদের তাজা রক্ত।
সদ্য সম্ভ্রম হারানো বোনের মুখে,
বিজয়ের চিহ্ন এঁকে এই হাসিই ফুটে ছিল সেইদিন।


খুব চেনা সেই হাসিতে, আজ নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন বুনি।
সিঁদুর মুছে যাওয়া বৌদি কিংবা সন্তানের অপেক্ষায় থাকা বিধবা মায়ের মুখে,
এই হাসিটাই খুঁজে বেড়াই।


আর অবুঝের মত নিরুত্তর প্রশ্ন করি তোমাকে,
কি আছে, কি আছে ওই হাসিতে?