মা'গো,
ক্ষমা করে দে আমায়; ক্ষমা করে দে।


তোকে নিয়ে স্বপ্ন আঁকি,
তোর ভিতরে দেশ'কে দেখি।
তুই যে প্রিয় বাংলা ভাষা,
বেঁচে থাকা শেষ আশা টা_


কেন মিছে গল্প হয়ে,
এলি তুই এ সংসারে?
বাঁশি যখন বে'সুরে বাঁজে-
আকাশ দেখি; মেঘে'র সাঁজে।


বুকের ভেতর করে যে ধড়াস
সত্য বলছি, হয়েছি হতাশ...
আজকে মা শূন্য হাতে,
শিখেছি প্রেম বিলাতে_


গোপন ভয়ে ঘড়ির কাটা,
থমকে গেছে বত্রিশে।
নিথর রাতে কান্না শুনে,
কেউ আসে না। কেউ দেখেনি-
বসন্তদূত কদম হয়ে ঝড়ছে একা।
বিচিত্র এক গোলকধাঁধা ত্রি-মৃত্তিকা।

একের পর এক..
রাত বারোটায় ফোন আসে না,
এসএমএস'র টোন বাঁজে না,
তবে কি বয়স হলো? না না...
-চিরাচরী 'কেবল ষোল'।


তবু হঠাৎ পড়লো মনে-
বাবার কথা, হারানো ব্যথা।
প্রকৃতি-সমাজ-ঋণ; জন্মের দায়বদ্ধতা।
ক্ষমা করো যত স্বজন..


প্রয়োজন বৃষ্টি ...
ইচ্ছে করে আঁতুড়ঘরে ফিরতে
ডানে মেলে বৃন্দাবনে উড়তে
নিষ্পাপ শৈশব- দুরন্ত কৈশোর
বেখেয়াল আড্ডা চায়ের দোকান।


আগামী প্রত্যাশা  
ভাঁজপত্র ক্ষোভ চাপে আক্ষরিক বিপ্লব
নিষ্ঠুরতা মুখ ঢেকে জন্ম দিবস
আজকে আমার দীপ্ত শপথ...


'মা' তুই; রাখিস মনে,
তোর ছেলে জাগরণে,
ভাঙবে বাধা উঠবে তুফান
বি'পজেটিভ রক্তকোষে আগুন নৃত্য।
আজকে শপথ জন্মদিনে-


দিচ্ছো ধোঁকা, ভাবছো বোঁকা
ভালোবাসা দূর্বলতা সেই সুযোগে...
খেলছে যারা ফেলনা ভেবে,
বাবার কসম ছাড় হবে না।
ইতিহাস মাপ পাবে না।
জয় ভাষা, জয়ী গল্প, জয়তু বাংলা কবিতা।