গভীর রাতের অন্ধকার ভেদ করে জোছনারা উকি দেয়,
স্তব্দ বাতাস আড়ি পেতে জানালায় শুনতে পায় হাহাকার ।
মুক্তির আর্তনাদে আন্দোলিত হওয়া সাত কোটি প্রান,
সম্ভ্রম হারানো দু‘লাখ মা-বোন কেঁদে যায় অনবরত ।


একটি আঙ্গুল,একটি দরাজ কন্ঠ কম্পন তোলে,
কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ভেসে আসে একটি সুর।
প্রতিধ্বনিত হয় বাংলার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে,
স্বাধীন সার্বভৌম মুক্তি ছটফট করতে থাকে।


রাতভর চলতে থাকে পৈশাচিকতার নগ্ন নৃত্য,
সবুজ মায়ের বুকে ওরা এঁকে দেয় রক্ত চিহ্ন।
নির্বিচারে চলে গণহত্যা, মুক্তিকামিরা করে আত্মদান,
দ্রোহের আগুন চেপে জেগে থাকে শোষিত-বঞ্চিত মুখ।


অবশেষে ভোর আসে, বহু কাঙ্খিত সে ভোর,
লেখা হয় ইতিহাস,অর্জিত হয় একটি পতাকা।
রাতভর লড়াই করে জাগে লালাট সূর্য তনয়,
বীরাঙ্গনা মায়ের মুখে ফোটে হাসির ঝিলিক।


একটি রাত, একটি ইতিহাস, একটাই স্বাধীনতা ,
তবু কেন আজও প্রতিটি ভোরে খুঁজতে হয় তার মানে ?
প্রতিটি রাতের বুকে মাথা রেখে শোনা যায় সেই আর্তনাদ,
আজও কেন হায়নার অট্টহাসি, বাঁধনহারা আনন্দে উদ্বেলিত ক্ষনে!