আমি লণ্ডভণ্ড করা সাইক্লোন,
আমি কাল বৈশাখী ঝড়।
নজরুলের বিদ্রোহী কবিতা,
আর রবীঠাকুরের জন্ম বৈশাখ।
এসো এসো গানের সুর আমি...


কবিতা আমার মায়ের মত দামী,
কবিতা-ই আমার ঘরের বউ।
ছন্দ আমার আগামীর স্বপ্ন,
জানতে চায়নি কখনো কেউ!


যেখানে কবিতা নিলামে ওঠে,
বারবনিতা দখলে নেয় পঙক্তি মালা।
সেখানে আমি হয়ে যাই কাফরু,
জল্লাদের হাতের অস্ত্রে কিরণমালা।


আমি হই জাগরণী গান, গণ বিস্ফোরণ,
ধ্বংসের মহা প্রলয়ঙ্কর তান্ডবলীলা।
সাবধান আমি কালে কালে আসি,
আমি নইতো কোন রমণীর হাতের বালা।


পদ ও পদবী তোরা বেঁচা-কিনা কর,
তোদের কলমে ব্যর্থমনোরথ।
আমি আমার অন্তরাত্মার সাথে,
নিরবে নিভৃতে করেছি দীপ্ত শপথ।


কলম রেখেছি শেণে, প্রয়োজনে অস্ত্র হবে।
ক্যানভাস এঁকেছি মনে, দৃশ্য রচিত হবে।
সাদা-কালো ফ্রেমে নয় রঙিন মলাটে বাঁধা।
ডায়েরী পাতায় নয় ছেড়া পাতায় লেখা ইতিহাস,
শুকিয়ে মড়মড় করবে হয়ত বারুদের গন্ধধূপে।
আমি জ্বালাবো আগুন ঘুমন্ত মনে,
এবার 'যুদ্ধ হবে', 'যুদ্ধ হবে','যুদ্ধ হবে'।


জয়-পরাজয় যা-ই হবে হয়...
নাই হারাবার কোন ভয়।
আমি বীর; সবুজ লতার শির,
বাংলার মাটিতে ললাট বীর্যবন্ত রক্ত,
আমি ধর্ষিত হওয়া কবিতার স্বামী।
'সাবধান','সাবধান', অতএব 'সাবধান'...