তুমি ছিলে আমার পাশে।
শান্ত দুপুরের সোনালী রৌদ্র; হেসে ছিলো তোমার মুখে-
আমি দেখে ছিলাম নির্বাক হয়ে,
হতবাক কাজল টানা চোখের রেখায়
                        হাজার বছরের প্রেম...
যে প্রেম খুঁজে ছিলো জীবনানন্দ, নাটোরের বনলতার ভিতর।


সেন থেকে রয়; রানী দাস থেকে মনিকা রানী বিশ্বাস,
মুসলিম থেকে হিন্দু; বৌদ্ধ  থেকে খৃস্টান-
কিংবা স্বজাতি থেকে উপজাতি।
সকল কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে খুঁজে ছিলাম...


অবশেষে স্বপ্নিল ক্যানভাসে যৌনতার আস্বাদে
জড়িয়ে ধরার তৃপ্ততা খুঁজে পেলাম ,
                        তোমার দেহের গন্ধে...


আমি তোমারই জন্য,
কখনো রবি ঠাকুর, কখনো বা নজরুল হয়ে
ঘুরে বেরিয়েছি জসীমউদ্দীনের নকশী কাঁথার মাঠে -


সেই তুমি আজ আমার পাশে,
ইচ্ছে ছিলো জড়িয়ে ধরে তোমার নরম ঠোঁটে
এঁকে দেবো মহাকালের পদ চিহ্ন।
চুম্বনে চুম্বনে সৃষ্ট লালায় ধুয়ে নেবো লুকানো সকল কষ্ট।


অথচ সাবলীল তোমায় দেখে,
আজ নিথর হয়েছি আমি...
প্রকৃতি উৎসবে মেতেছে,
তবুও প্রেম দেবতা আমার-ই মত নিশ্চুপ ।