সে আর পড়বে না -
তোমার লেখা কবিতা,
সে লাল টিপ পড়ে,
পায়ে আলতা মাখে,
কেনো লেখো তা কবিতাতে -
সে নীল শাড়িতে সাজে,
বেইলি ব্রিব্জের পাশে দাড়িয়ে;
উতাল পাতাল ঢেউ দেখে-
তোমাকে পেতে চায় কাছে,
শাপলা ফুল তোলে-
কচুরিপানাতে তোমাকে ভাবে,
বর্ষি ফেলে মাছ ধরে -
পানকৌড়ির ডাক শোনে।


সে যায় সরিষা ক্ষেতে -
শিম কপি বরবটি তোলে,
বাজারে বিক্রি করে -
সন্ধ্যাকালিন কলেজে পড়ে,
খোলাখুলি কথা বলে-
সে হাসতে ভালোবাসে-
দুঃখকে পারে হার মানাতে।


সে অবসরে গল্প করে-
পুকুর পাড়ে বকুলের তলে,
সে গীত গাইতে ভালবাসে-
মহল্লার বিয়ের অনুষ্ঠানে,
সে এখনো কুত কুত খেলে-
ছি-বুড়ি গোল্লাছুট তাকে তাড়া করে,
তার ভাব কানামাছির সাথে।


সে যদি আর তোমার সাথে
কোনো দিন কথা না বলে -
তবে তুমি কি করবে ?
কবিতা লেখা কি দিবে ছেড়ে!


তা কেনো!
কবিতার ভাষা খুঁজি তার মাঝে-
কবির প্রেরণাতে সে আছে।


০১ পৌষ, ১৪২০
১৫ ডিসেম্বর, ২০১৩
১১ সফর, ১৪৩৫


ভালুকা, ময়মনসিংহ।