তোমার নামটি পড়া মাত্র-
আমি স্তব্দ,
বুক ধড়ফড় করে ওঠল;
কে তুমি?
কোথায় থাক?
কি কর?
কি তোমার পরিচয়?
কেন তুমি অপ্রকাশিত?
কি চাও তুমি আমার কাছে?
কি-বা আমার দেওয়ার আছে!
সবকিছু দিচ্ছি উজার করে।
কেন লুকোচুরি তোমার, আমার পাতাতে?
তুমি কি হারিয়ে যাচ্ছ আমার মাঝে-
না আমি তোমাতে!


আমি থাকি ছোট্ট কুঁড়ে ঘরে-
ঐ দুর নীল আকাশের নিচে বালুচরে
ভাব আমার শালিক কুহেলিকা পদ্ম শাপলার সাথে-
মাঝি-মাল্লা, জেলেদের সঙ্গে আমার লেন-দেন চলে-
কামার-কুমারদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে-
আমি যাবনা তাদেরকে ছেড়ে,
কিষাণ-কিষাণিরা আমাকে মিতা বলে ডাকে।


তুমি কি যাবে সেখানে আমার সাথে?
থাকতে পারবে কি তোমার ঐশ্বর্য ভুলে!
কাদা-জল, সবুজ-শ্যামল, নির্মল হাওয়াতে-
আমার দিন কাটে, প্রজাপতির পিছে-
সন্ধ্যা রাতে জোনাকিরা সাথে থাকে-
আঁধার রাতে আমাকে হাতছানিতে ডাকে,
এসব ভুলে কি যেতে পারি আমি তোমার কাছে!
তারাদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে আমার নিদ্রা আসে-
পাকড়া-কুকুরটা আমাকে- পাহাড়া দিয়ে রাখে,
আযানের ধ্বনি, মোরগের ডাকে উঠি জেগে-
নামায শেষে, আমি ছুটে যাই মাঠে।


তুমি কি ছদ্মনামে অনামিকা তবে!
সে-তো সোনার চামুচের মেয়ে-
শার্ট, প্যান্ট, পেন্সিল হিল পড়ে,
আসমানে থাকে, লিফটে ছাদে ওঠে-
সারা শহর এক পলকে দেখে।


তুমি যদি চাও আমাকে-
তবে এস আমার গাঁয়ে,
ব্রহ্মপুত্র থেকে কিছু দুরে-
আসতে হবে রিক্সা-ভ্যানে করে,
যদি গরুর গাড়ী জোটে-
তাহলে একটু আরাম পাবে।


২১ পৌষ, ১৪২০
০৪ জানুয়ারি, ২০১৪
০২ রবিউল আউয়াল, ১৪৩৫


ভালুকা, ময়মনসিংহ।