মানুষ পৃথিবীতে বাঁচে বড় জোর একশো-দেরশো বছর
আর, আজও তোমরা বেঁচে আছো, বাঁচবে অযুত নিযুত বছর,
ভাষার জন্য দিয়ে প্রাণ তোমরা হয়ে আছো অবিস্মরণীয় অম্লান,
যতদিন মানুষ বলবে কথা-
যতদিন বেঁচে থাকবে মানুষ পৃথিবী পানি হাওয়া কেয়ামত পর্যন্ত।


যতদিন গান গাইবে টুনটুনি কোকিল টিয়ে শ্যামা অচেনা পাখি
যতদিন ধানক্ষেত সবজিক্ষেত সবুজ মাঠ থাকবে তরতাজা
যতদিন মায়ের উদুরে প্রাণ পাবে অতঃপর ভূমিষ্ঠ হবে শিশু
যতদিন আকাশ উঠবে চাঁদ থাকবে অমাবশ্যা পূর্ণিমা
যতদিন থাকবে নদী সাগর শীত কুয়াশা উঞ্চ হাওয়া
ভাষার জন্য দিয়ে প্রাণ তোমরা হয়ে আছো অবিস্মরণীয় অম্লান,
যতদিন মানুষ বলবে কথা-
যতদিন বেঁচে থাকবে মানুষ পৃথিবী পানি হাওয়া কেয়ামত পর্যন্ত।


কোটি কোটি মানুষের মনে ভিন্ন ভিন্ন ভাবনায়
আধুনিকতা থেকে আরও উন্নত আধুনিকতায়
সারা পৃথিবীতে তোমাদের জয়ের মাল্য এক সুতোয় গাঁথা,
প্রেমিক প্রেমিকাদের নতুন অনুভূতি নতুনত্বর আঙিনায়
ঘরে ঘরে নামাজ মোনাজাত আরাধনা প্রার্থণা তোমাদের জন্য।
ভাষার জন্য দিয়ে প্রাণ তোমরা হয়ে আছো অবিস্মরণীয় অম্লান,
যতদিন মানুষ বলবে কথা-
যতদিন বেঁচে থাকবে মানুষ পৃথিবী পানি হাওয়া কেয়ামত পর্যন্ত।


আমি তোমাদেরকে দিব্বি দেখতে পাই
আমার চারপাশে সারাক্ষণ ঘুর-ঘুর করো
আমার চোখের পাতা ভুরু টান করে রাখো
আমি অচেনা দুরত্বে- কাউকে দেখলেই ভাবি;
আসছে- রফিক শফিক সালাম বরকত জব্বার,
ফেরিওয়ালা রিক্সাওয়ালার বেলে শুনি তোমাদের পদধ্বণি-
কলিংবেল বাজলে ভাবি এই বুঝি আসলে তোমরা
জলে তাঁকালে নির্ঘাত দেখি তোমাদের প্রতিচ্ছবি
আজও তোমরা বেঁচে আছো, বাঁচবে অযুত নিযুত বছর।
ভাষার জন্য দিয়ে প্রাণ তোমরা হয়ে আছো অবিস্মরণীয় অম্লান,
যতদিন মানুষ বলবে কথা-
যতদিন বেঁচে থাকবে মানুষ পৃথিবী পানি হাওয়া কেয়ামত পর্যন্ত।


০৯ ফাল্গুন, ১৪২০
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪
২০ রবিউস সানি, ১৪৩৫


উত্তরা, ঢাকা।