(১)
টুপটাপ টুপটাপ টুপটাপ
পুটি কৈ বর্ষিতে টপাটপ,
ঘন বর্ষায় ভয়ংকর ঝোপঝাপ
পোকা মাকড় নয় নিস্পাপ।


(২)
চুপচাপ চুপচাপ চুপচাপ
পা ফেল; টিপে টিপে সুপসাপ
দাদা-দাদী ঘুমাচ্ছে ঠিক ঠাক,
নাক বাঁশী বাজছে ঘোর-ঘাত
জেগে উঠলে কানটানা নির্ঘাত,
বালিশের নিচে দেখ, পঞ্চাশ-
যথেষ্ট আজকার, আর কি চাস।


(৩)
চটপটি চটপটি চটপটি
জিহ্বায় জল জল সর্দি,
ফেল মারল আজ বৌদি
সন্ধ্যায় চাই না আর টি।


(৪)
পাশের বাড়ির ছেমরিটা
পুথির মালা পইড়া
আমায় নিচে বইসা,
মগডালে লাফে চইড়া
ঘুড়ি উড়ায় চারডা।


(৫)
ষাঁড়ের শক্তিতে বিস্মিত সবাই
তোদের অঞ্চলের হায়ার করা গাই
রশি দিয়ে বেধে রাখি তাই,
করেনা যেন ছুটোছুটি দৌড়াদৌড়ি
দুধ না দিয়ে ঝাপাঝাপি লাফালাফি-
"গাইবান্ধা" নাম এভাবেই জানি।


(বন্ধুরা মাঝে মধ্যেই খোটা দিয়ে গাইবান্ধা নাম নিয়ে হাসাহাসি করত,
সুযোগ পেলে এখনও অনেকেই আমাকে "গাই" বলে সম্বোন্ধণ করে
আর তখন তাদেরকে গাইবান্ধা নামকরণের বিশ্লেষণ এভাবেই দেই)


আসলে নিম্নরুপঃ-


(৬)
বিরাট রাজার শখ ছিল নীল গাই
বাড়ির পাশেই তাই করল উজির মশাই
পাইক পেয়াদাও খুশিতে মশগুল সদাই
"গাইবান্ধা" উৎপত্তি এভাবেই ভাই।


রবিবার
১৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২১
০১ জুন, ২০১৪
০২ শাবান, ১৪৩৫


ভালুকা, ময়মনসিংহ