আমার সমুক্ষে অন্ধকার
রুদ্ধ এক কারাগার
যেদিক তাকাই
সেদিক পুড়ে ছাঁই
সাগর যায় শুকে
পা পড়ে গর্তে-
হাত যায় ফসকে,
কেউ দিতে চায়না একটু ঠাঁই
কেউ বলেনা কিছু কি চাই?
যা বলে-তা ছাঁই।


কা-কা-কা করে বেড়াই
ফটিকের মতো জল চাই,
কিন্তু কে দেবে একফোঁটা জল
দিন দিন বাড়ছে চিড়, ফাঁটল।
ছাত্র জীবন শেষে-
অঝুত নিঝুত বেকার হাতঘুটে
সকলে একরোগে ভুগছে
কর্ম খালির খুঁজে ছুটছে।
ভালোছিলো ছাত্র থাকায়
ভালোবাসা, আদর, চুমু দিতো সবাই
অনেক আশা ভাসা ছিলো-
মা’র সংগে ওয়াদাও ছিলো
নতুন স্বচ্ছ সূর্য দেখাবো
সকলের মুখে হাসি ফোঁটাবো
বানভাসা মানুষের পাশে দাঁড়াবো
ব্রীজ, কালভার্ট, রাস্তা বানাবো
গড়বো স্কুল, কলেজ, মাঠ, মাদ্রাসা-
এতিমখানা বিলুপ্তিতে উৎসাহ দেবো।
এখন সব এলোমেলো;
আত্মীয়-স্বজনরাও দূরে-
সকলে বলছে এ কি হলো
লেখাপড়া শিখতে;
কয়েক বছরে কতগুলো জমি
বিক্রি হয়েছে?


রচনাঃ ১৯৯০