ছোট ছোট দীঘি, দীঘি ভরা জল,
পদ্ম পাতায় সুখের কোলাহল।
ঢেউয়ে ঢেউয়ে মাতাল,
আর পঞ্চরশির মিল,
জ্যোৎস্না আলোয় ঝলমল,
টলটলে জলের স্রোতধারায়
আমি হয়েছি বেসামাল।


দিগন্তের গোধূলির সাঝ,
একা আমি আর-
চপলা মেয়ের মুখটা হাস্যোজ্জ্বল,
দীঘি জলে তার অস্পষ্ট প্রতিচ্ছবি।
তার মুখটা দেখার জন্য
আমি হয়েছি ব্যকুল,
আমার চোখে মুখে নেশা,
আর মন ভাঙার যাতাকল।


হাসি মুখে যাচ্ছে চলে,
রথে তার আগমনে,
গতিশীল ধারায় পৌঁছে যায় সীমান্তের ওপারে।
শুধু শূণ্যে ভাসিয়ে হাতের কাঁকন।
ভরা যৌবনা নিয়ে যায়-
আমার নিশ্পলক চাহনীর এক ইন্দ্রিয় অনুভূতি।


"তুমি কোথায় চলে গেলে?
বাঁশির সুর কেন হারালো?
শূণ্যতা যেন গ্রাস করছে আমায়।
ফিরে এসো, তুমি ফিরে এসো
এই তোমার সাজানো এই নিকুঞ্জ-বিতানে।"


নেমে যাই দীঘিতে,
দেখি নিকষ কালো অন্ধকার!
তোমার জন্য হয়েছি ব্যকুল!
দমটা আটকে যায়!
শ্বাস নিতে কষ্ট হয়!
চোখ বুজে আসে।
দেখি উন্মুক্ত কেশে ছুটে চলছো তুমি,
আঁচলটা উড়িয়ে দিয়েছো মৃদু মলয়ে,
রথটি চলে যাচ্ছ দিগন্ত পেরিয়ে,
শ্বাস যেন আবদ্ধ হয়ে আসে।


চোখে এক আবছা ছাঁয়া,
মিলিয়ে যায় দূর দিগন্তে।
কোথায় সে সুর, কোথায় সে রথ?
আর সেই চপলা মেয়েটি।
তার হদিস করতে পারি না আমি।


মেয়েটি এসেছিল দীঘিতে,
পরীদের সাথে স্নান,
রূপের কি বাহার! ডাকল ইশারায়!
তাই তো নেমে গেলাম দীঘি জলে,
দেখি পরীদের সাথে রথটি নিয়ে মিলিয়ে গেলে।
আমি শুধু তার দেখেছি হাতের কাঁকন,
আঁচলে মুখটা ঢাকা, তবুও মহাসিন্ধু,  
মিলিয়ে গেল দিগন্তে।


ক্লান্ত দেহ, ঘুমিয়ে পড়ি
দেখি নিকষ কালো অন্ধকার!
আর সেই বাঁশির সুর, ডাকছে আমায়।
কেউ আমাকে আটকাবে না! আমি ওকে ধরবই।
অথচ আমার কাছে ধরা দেবার আগেই
মিলিয়ে যায় সে চিরচেনা সুরে আর রথে।
.....চলবে......