এক যুগ পর,
শুধু তোমার জন্যই, সেজেছি নতুন রূপে,
বসন্তের রঙে, সবুজের কারুকাজে,
রঙিন-লাল-নীল-হলদু-বেগুনি,
আর সবুজ ফানুস!
উড়িয়ে দিয়েছি কি উর্ধ্বাকাশে উর্ধ্ব পানে?


এক যুগ পর,
তুমি দেখেছো সবই, অথচ নিয়েছো গুটিয়ে,
চোখের কাজলে বর্ষা দেখেছি তোমার,
বসন্তের আগমনে আনমনা ছিলে,
ছিল না কোলাহল!
মোর অন্তরে লিখি নাই কি ব্যথাতুর অঞ্চল?


এক যুগ পর,
আবারো আমি হাসতে চেয়েছিলাম,
ভালবাসতে চেয়েছিলাম,
তোমাকে আপন করে নিতে চেয়েছিলাম,
এসব কি তোমার কাছে বেমানান মনে হলো?


এক যুগ পর,
আমাকে চিনতে তোমার ভুল হলো,
হবেই তো! কে আমি?
আমার তো কোন অধিকার নেই-
কাউকে ভালবাসার, স্পর্শ করার,
আর হাতে হাতে রেখে পথ চলার।
তুমি কি আমাকে নিয়ে আর হারাতে চাও না?


এক যুগ পর,
তোমাকে দেখে বাঁচার স্পৃহা জেগেছিল,
তুমিই তো মোরে জাগিয়েছিলে,
অথচ জাগ্রত হয়ে দেখেছি-
গ্রাস করছে আমায় অসীম শূণতা!
তুমি কি এই শূণ্যতাকে পূরণ করতে পারবে না?


এক যুগ পর,
তুমি যদি এমনই করবে মোর সাথে,
কেন এসেছিলে মোর অনুভবে?
কেনই বা বলেছিলে মোর কাব্য?
কেনই বা আবারো চলে গেলে কিছু না বলে?


এক যুগ পর,
তোমাকে খুঁজেছি, ওহে স্বপ্নকুমারী!
ওহে নারী, ওহে কামিনী!
তোমাকে জেনেছি, তোমাকে চেয়েচি,
অথচ কবির ভালবাসায় সাড়া দাও নি তুমি,
তুমি কি জানো কবির মনেও ভালবাসা আছে?


ইতি-
তোমার প্রেমহীন কবি,
উৎসর্গ তব তোমার প্রতি।


******************************


রচনাকালঃ  ০৬/০৯/২০২১ ইং
উৎসর্গঃ প্রিয়তমেষু।
বিষয়ঃ ভালবাসার উপলব্ধি।
মুহূর্তঃ হঠাৎ শুনা কাব্যে আমি অভিভূত।
স্থানঃ বাড্ডা, ঢাকা ১২১২।