কাঠের ঐ ফ্রেম থেকে বেরিয়ে এসো অপরাজিতা,
তুমি কি জানো? আজও আমি তোমারই অপেক্ষায়।
চোখের কোণে জল জমে আসে, মুছে ফেলি
গোপনে গোপনে,
মনে আছে কি তোমার সেদিনের কথা?
বাদল দিনে কদম ফুলের মালা!
আর হাতে হাত রেখে পথচলা!
তুমি তো অল্পতেই অভিমান করতে,
তবুও তোমার অভিমান ভাঙতে হতো না দেরি!
শিশির ভেজা ঘাসে, পা মাড়িয়ে, চুপিচুপি আর
এগিয়ে আসতে সংগোপনে।
অথচ আজ ছবি হয়ে কাঠের ফ্রেম হয়েছো আবদ্ধ!
ঐ কাঠের ফ্রেম থেকে বেরিয়ে আসবে না?
আমি যে আর পারছি না!
এ বিয়োগ ও মর্মান্তিক আর ট্রাজেডিক ব্যথায়!
আমি কি তোমাকে আর কাছে পাব না?
ক্ষত মনে, তোমায় খুঁজি বারবার,
তবুও তোমারই অস্তিত্ব খোঁজে পাই না!
আমার কি ইচ্ছে করে না?
তোমারই হাতে হাত রেখে অজানায় হারিয়ে যেতে!
আমার কি ইচ্ছে করে না?
তোমাকে এ বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরে রাখতে!
আমার কি ইচ্ছে করে না?
তোমার নিজ হাতে রান্না করা কোন খাবার খেতে!
আমার কি ইচ্ছে করে না?
তোমার প্রিয় হার তোমারই গলায় পরিয়ে দিতে!
আমার কি ইচ্ছে করে না?
তোমাকে সারাটা জীবন ধরে ভালবেসে যেতে!
আমার কি ইচ্ছে করে না!!!
মনে আছে কি তোমার?
তুমি অভিমান করলে নিজ হাতে খাইয়ে দিতাম,
আর তুমি মৃদু মৃদু হাসতে আর বলতে,
এত আদিখ্যেতা দেখাতে হবে না!!
আর বলতে আমি যদি না থাকি,
তুমি কাকে খাইয়ে দিবে?
কথাগুলো শুনে আমার চোখ থেকে
টপটপ করে জলগুলো পড়তো তোমার আঁচলে!
তুমিই তো আমার চোখের জল মুছে দিতে,
আর বলতে ছেলেমানুষী করো নাতো,
আমি কি তোমাকে ছেড়ে চলে গেছি!!!
অথচ তুমি কোথায় হারিয়ে গেলে অপরাজিতা?
আমি যে এ বিচ্ছেদের ব্যথা সইতে পারছি না!
অথচ নিশ্পলক তাকিয়ে আছো আমার দিকে,
ভারী মিষ্টি মুখ তোমার, মায়া আছে যেন!
এ মায়ায় তো ডুবে আছি প্রতিনিয়ত!
ঐ নির্জীব কাঠের ফ্রেম থেকে-
বেরিয়ে আসবে না অপরাজিতা?
আমি যে এই শূণ্যতাকে বহন করতে পারছি না!
ফিরে এসো অপরাজিতা! ফিরে এসো,
তোমাকে নিয়ে হারাতে চাই ভালাসার ভুবনে,
অন্তিম ও অনন্তকাল!!!


****************************


রচনাকালঃ ০১/০৮/ ২০২১ ইং
সময়ঃ সকাল ১০ টা
স্থানঃ সাতারকুল, বাড্ডা, ঢাকা।